একে তো বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ।
তার উপর চারপাশে যা চলছে তাতে মন-মেজাজ বেজায় খারাপ।
করোনা ভাইরাসের মরণ প্রকোপ চলছে।
কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে জানা নেই।
নিশ্চিতভাবেই আর্থিক মন্দা দুনিয়া জুড়ে।
কাজ হারাবেন অসংখ্য কর্মী।
এই পরিস্থিতিটা দেখা ছাড়া উপায় নেই।
অজস্র মানুষ কাটাচ্ছেন ভয়ানক উৎকণ্ঠায়।
আর জানেনই তো!
স্ট্রেসের সঙ্গে ওজন বাড়ার সরাসরি যোগ আছে?
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উপায় আমাদেরও জানা নেই।
তবে তার মধ্যেও যারা সুস্থ থাকতে চান, তাঁদের দিকে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারি।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
জীবনে কিছু কিছু বিষয় আপনি কখনওই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
সেটা মেনে নিন এবং ভালো থাকার চেষ্টা করুন।
সারাক্ষণ পৃথিবীর কোথায় কত মানুষের মৃত্যু হল তা নিয়ে না ভেবে বরং অনলাইন মেডিটেশন ক্লাসে যোগ দিন।
অনেক ই-বুক বিনামূল্যে পড়া যাচ্ছে।
খুঁজে নিন আপনার পছন্দের বিষয়।
সংসারের কাজ তো আছেই।
নিজের প্রোডাক্টিভিটির সঙ্গে সমঝোতা করবেন না।
সব কাজেই সেরাটা উজাড় করে দিন।
যারা এতদিন সংসারের সাত-সতেরো নিয়ে মাথা ঘামাননি।
মা-বাবা, রেস্তোরাঁর খাবার বা সহায়কের ভরসাতেই কাটিয়েছেন-
তারা এই লকডাউন পর্বে পড়েছেন মহা মুশকিলে।
কিন্তু জানেন কি সহজ, পুষ্টিকর রান্না করে নিতে বিরাট পরিশ্রম হয় না আদপেই।
অজস্র ওয়ান পট মিলের রেসিপি মিলবে ইন্টারনেটে।
এড়িয়ে চলুন অতিরিক্ত চিনি আর ময়দা!
বিছানা আর কাজের টেবিলেই আটকে থাকবেন না
একটু হাঁটাচলা, ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরি।
সারাদিন শুয়ে-বসে থাকলে ওজন বাড়বে।
দেখা দেবে আরও নানান ব্যাধি।
সবচেয়ে বড়ো কথা, ইমিউনিটি কমবে।
ঘরে, ছাদে, বারান্দায় নিয়ম করে হাঁটুন।
বাড়ি পরিষ্কার রাখুন।
জল খান নিয়ম মেনে
বাড়িতে আছেন বলে হয়তো ঘাম কম হবে।
কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আপনি কম জল খেলেও চলবে।
প্রতি দেড় ঘণ্টা অন্তর এক গ্লাস জল খাওয়া প্র্যাকটিস করুন।
খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পর জল খাবেন।
পর্যাপ্ত ঘুম একান্ত জরুরি
বাইরে বেরোতে হচ্ছে না বলেই রাত জেগে ওয়েব সিরিজ দেখছেন?
আবার পরদিন সকাল না হতেই লেগে পড়ছেন রোজের কাজে?
ঘুমের অভাবেও কিন্তু ওজন বাড়বে।
তাই নিজের রুটিন থেকে বিশেষ সরবেন না।
অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমান রোজ।