আমাদের ত্বকে যেমন কালচে ছোপ পড়ে।
ঠিক তেমনটাই হতে পারে ঠোঁটের ক্ষেত্রেও।
বয়সের ছাপ পড়ে আমাদের ঠোঁটেও।
সেইসাথে কালচে ছোপ পড়ে।
যারা দীর্ঘদিন ওষুধ খাচ্ছেন-
তারাও সমস্যাটিতে পড়তে পারেন।
যাঁরা চড়া রোদ্দুরে বেশিক্ষণ কাটান-
তাঁদেরও হতে পারে।
ক্যাফেইনেরও আছে ভূমিকা!
ধূমপান এবং চা-কফির প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কমান।
কেননা তা ঠোঁটের স্বাভাবিক রং কালচে করে দিতে পারে।
যারা বারংবার ঠোঁট চাটেন, তাঁদেরও এই সমস্যা হতে পারে।
লিপস্টিক, টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশের উপাদান থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
ঠোঁটের স্বাভাবিক রং এতে কালচে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ভিটামিনের অভাব বা রক্তাল্পতার কারণেও ঠোঁট তার স্বাভাবিক গোলাপি রং হারিয়ে ফেলে –
আপনার যে তেমন কোনও সমস্যা নেই, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া দরকার।

সাধারণ নিয়ম-কানুন
সমস্যার কারণগুলো তো জেনে নিলেন।
এবার তার সমাধানেও উদ্যোগী হতে হবে।
ঠোঁট বারবার চাটার অভ্যেস ত্যাগ করুন।
তাতে ঠোঁট শুকিয়ে যায় বারবার পেলবতা ও আর্দ্রতা দুইই হারায়।
নিয়ম করে মধু আর চিনির মিশ্রণ ঘষে ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করা দরকার।
তারপর লাগাম লিপ বামের পরত। লিপ বামে সানস্ক্রিন থাকলে ভালো হয়।
অতিরিক্ত সুগন্ধি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
কিছু ঘরোয়া সমাধানের আশ্রয় নিলে আপনার ঠোঁট পাবে সজীবতা-
ধীরে ধীরে তার পুরোনো উজ্জ্বলতাও ফিরে পাবে।

পাতিলেবু
লেবুর রস প্রাকৃতিক ট্যান রিমুভার ও ব্লিচ হিসেবে কাজ করে।
তাই রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক টুকরো পাতিলেবু কেটে নিন।
রসে ভরা দিকটি চিনির মধ্যে খানিকক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন।
তারপর সেটি ঠোঁটে ঘষে নিন ভালো করে।
সারা রাত মিশ্রণটি ঠোঁটে বসুক, পরদিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন।

বিট
বিট কুরে নিয়ে রস বের করে নিন।
তারপর এই রস আর দুধের সরের মিশ্রণ তৈরি করুন।
ঠোঁটের উপর হালকা পরত লাগান।
১০ মিনিট পর ধুয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিন।
প্রতিদিন এই টোটকা ব্যবহার করলে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

কাঁচা হলুদ
গায়ের পাশাপাশি ঠোঁটের রংও উজ্জ্বল করে তুলতে সক্ষম কাঁচা হলুদ।
হলুদের রস আর দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে নিন।
যতক্ষণ না মিশ্রণটা শুকিয়ে যাচ্ছে, ওভাবেই থাকুন।
তারপর তুলে ধুয়ে নিন।

বেদানা
বেদানার রস, কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল আর দুধের সর একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
ঠোঁটের উপর ম্যাসাজ করুন মিনিট তিনেকের জন্য।
তারপর ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন।

আমন্ড তেল
রাতে শোওয়ার আগে নিয়মিত আমন্ড অয়েল ম্যাসাজ করুন।
ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।