Search
Close this search box.

তারুণ্য ধরে রাখতে বদলে ফেলুন খাদ্যাভ্যাস

একটা কথা খেয়াল রাখবেন, আমাদের মুখের উপর দিয়ে কিন্তু সারাদিন ঝড়ঝাপটা বয়ে যায়।

পুরো শরীরে পোশাকের আবরণ থাকে, পায়ে থাকে জুতো।

মুখের সে সব গার্ড নেই।

সরাসরি রোদের তাপ পড়ে মুখে।

দূষণের প্রভাব রোজকার সমস্যা।

কেমিক্যাল প্রডাক্টস ত আছেই।

সেইসাথে মেকআপ সব কিছুই ত্বকের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।

রোজকার নানা বদভ্যাস ত আছেই।

খাবারেও আজকাল ভেজালের ছড়াছড়ি।

তারপর আমরা বুঝে বা না বুঝেই জোরে তোয়ালে ঘষি মুখে।

রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছি, মেকআপ তুলি।

ফলে ক্রমশ ত্বক আর্দ্রতা হারায়।

বারবার ত্বকের তৈলগ্রন্থিতে আঘাত লাগে।

তার ফলে সিরাম উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে ত্বক আরও বেশি তেলতেলে হয়ে যায়।

কারও কারও ক্ষেত্রে আবার তৈলগ্রন্থি স্বাভাবিক কাজ করাই বন্ধ করে দেয়।

ফলে ত্বক ক্রমশ শুকনো হয়ে বলিরেখা পড়ে।

তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে এমন কিছু করবেন না যাতে ত্বকের আঘাত লাগে।

রোজ স্ক্রাব করার দরকার নেই, সম্ভব হলে মেকআপ ব্যবহার কমান।

ত্বক চর্চার ক্ষেত্রে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা আমন্ড তেল ব্যবহার করুন।

সানস্ক্রিন লাগান নিয়ম করে।

আর অবশ্যই বদল আনুন প্রতিদনের খাদ্যতালিকায়।

আদা: 

আপনি কি জানেন, আদা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান?

আদা হজমশক্তি বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে।

আধ ইঞ্চি স্লাইসের আদা দু’ কাপ জলে খুব ভালো করে ফোটান।

জলটা কমে এককাপ পরিমাণ হলে ছেঁকে লেবু আর মধু মিশিয়ে নিন।

পান করুন রোজ সকালবেলা খালি পেটে।

উষ্ণ গরম এই জল আপনার পেট পরিষ্কার রাখবে।

ফলে ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে।

যেদিন বাইরে একটু বেশি খাওয়াদাওয়া হয়ে যাবে, সেদিনও পান করে দেখুন।

খাবার হজম হবে খুব তাড়াতাড়ি।

পাতিলেবু: 

পাতিলেবুর ভিটামিন সি উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

প্রতিদিন দুটো করে পাতিলেবু খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।

উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায়।

বা আপনার ফেস মাস্কের সাথেও ব্যবহার করতে পারেন।

চায়ে লেবু মেশিয়ে খেতে পারেন।

তবে পাতিলেবু দিনের বেলা খেয়ে নিলেই ভালো করবেন।

রাতের দিকে ভিটামিন সি-র কার্যকারিতা হ্রাস পায়।

মধু: 

মধু আপনার ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়।

যাঁরা চিনি দিয়ে চা খেতে অভ্যস্ত, তাঁরা মধুতে শিফট করুন।

চায়ের স্বাদ বাড়বে। ত্বক থাকবে চমৎকার।

মধু আপনি প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন।

সমান পরিমাণ দারচিনি আর মধু এককাপ জলে ফুটিয়ে পান করুন।

রাতে শোওয়ার আগে আর সকালে পান করে দেখুন ছ’মাস।

ত্বকের পরিবর্তন দেখে নিজেই আশ্চর্য হবেন।

মাখন: 

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভালো মানের ফ্যাট একান্ত প্রয়োজনীয়।

ঘি আর মাখন কিন্তু আপনার দামী কোনও তেলের চেয়েও অনেক কাজের।

তবে অতিরিক্ত মাত্রায় নয়।

একচামচ মাখন বা ভালো মানের ঘি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।

তাতে ত্বক ঝলমলিয়ে উঠবে।

ফ্ল্যাক্সসিড: 

ফ্ল্যাক্সসিডে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, ফাইবার মিলবে।

সেই সঙ্গে তা প্রোটিনেরও খুব ভালো উৎস।

প্রোটিন সুষম খাদ্যতালিকার আবশ্যক অঙ্গ।

আপনার রোজের খাদ্যতালিকায় একচামচ ফ্ল্যাক্সসিড যোগ করুন।

সুস্থ ত্বকের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন কোলেস্টেরল আর ডায়াবেটিসও।