হিল পরলে স্টাইলিশ লাগে, পায়ের শেপটা চমৎকার দেখায় – খুব ঠিক কথা।
কিন্তু রোজ হিল পরলে অনেকের পায়ে ব্যথাও হয়! বিশেষজ্ঞরা বলেন, হিল সারাক্ষণ পরে থাকলে পায়ে ব্যথা ছাড়াও আরও নানা সমস্যা হতে পারে।
তবে আগে থেকে কিছু জরুরি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলে কষ্টটা অনেকাংশেই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যেমন ধরুন, জুতোটা আপনার পায়ে একদম ঠিকঠাক ফিট করছে কিনা, সেটা দেখে নেওয়া একান্ত জরুরি।
খুব আলগা জুতোর মধ্যে পা ফ্লোট করে, তাতে ব্যথা হয়। আবার খুব টাইট জুতো পরলেও পায়ে ফোসকা পড়তে পারে।
তাই অতি অবশ্যই বারবার ট্রায়াল দিয়ে তবে জুতো কিনুন।
দিনের শেষে সন্ধেবেলায় আপনার পায়ের আকার সবচেয়ে প্রসারিত থাকে, সেই সময়েই জুতোটা কেনা উচিত।
ব্র্যান্ড ভেদে জুতোর সাইজ় পালটায়, সব সময় যে একই সাইজ়ের জুতো পায়ে ফিট করবে তা না-ও হতে পারে।
জুতো, বিশেষ করে হিল জুতো অনলাইনে না কেনাই ভালো।
আপনার পায়ে যদি বুনিয়নের সমস্যা থাকে, অর্থাৎ বুড়ো আঙুলের নিচে হাড় বেড়ে গিয়ে বাইরে বেরিয়ে থাকে, তা হলে কিন্তু হিল এড়িয়ে চললেই ভালো করবেন।
এই পরিস্থিতিতে হিল পরলে পায়ের আকার আরও খারাপ হবে।
যদি কোনও বিশেষ একটি জুতো পরা আরম্ভ করার পর থেকে পায়ে কড়া পড়তে আরম্ভ করে, বা পায়ের নখে ইন-গ্রোথ দেখা যায়, তা হলে বুঝবেন যে জুতোটি বাতিল দিতে হবে।
প্রাণে ধরে সেটা না ফেলতে পারলে অন্তত পরাটা কমিয়ে দিন। যেদিন কম সময়ের জন্য বাইরে যাচ্ছে, সেদিন প্রিয় হিলটি পরতে পারেন।
মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পায়ের আকার বদলায়।
তাই অল্প বয়সে যে ধরনের জুতো স্বচ্ছন্দে ক্যারি করতে পারতেন, একটু বেশি বয়সে এসে সেটা আর তত সহজ হবে না।
তাই বয়স বাড়লে বা ওজন বাড়লেও সরু হিল ছেড়ে ব্লক বা ওয়েজ হিল পরা উচিত। তাতেও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।