Search
Close this search box.

দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার টিপস

প্রাত্যহিক জীবনের কাজের চাপ ও দৌড়ঝাপের মাঝে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না।

এর ফলে ওজনবৃদ্ধি, ডায়বিটিজের মতো নানান রোগের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আসুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন উপায়ে ফিট ও এনার্জেটিক থাকবেন।

হাঁটুন

এক দিনে অন্তত ৫ হাজার স্টেপ হাঁটুন। স্বাস্থ্যের পক্ষে খাবার যতটা জরুরি, ততটাই জরুরি রোজ হাঁটাচলা করা।

খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা উচিত।

সকালে আধ ঘণ্টা জোর কদমে হাঁটলে উপকার পেতে পারেন।

সকালে সময় না-পেলে রাতে খাবার খাওয়ার পর আধ ঘণ্টা অবশ্যই হাঁটুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

সুস্থ থাকার জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

এটি আপনাকে হাইড্রেট রাখবে ও খাবার হজম করতেও সাহায্য করবে।

লাগাতার পানি খেলে শরীরের সমস্ত টক্সিন অপসারিত হয়।

কম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকে শুষ্কভাব ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।

খাবার নিয়ন্ত্রন

ভুলেও প্রাতঃরাশ বাদ দেবেন না।

ভরপেট প্রাতঃরাশ করলে সন্ধে পর্যন্ত এনার্জেটিক অনুভব করবেন।

রাতে কম খাবার খাওয়া অভ্যেস করুন।

রাতে কম খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কারণ রাতে হজমের জন্য শরীরকে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই রাতে হাল্কা ও কম খাবার খাওয়া উচিত।

ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন

ফাস্টফুড খেতে সকলেই ভালোবাসেন। কিন্তু এই খাবারগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

এতে অধিক পরিমাণে ক্যালরি থাকে।

তাই ফাস্টফুড ও বাইরের খাবার খাওয়া এড়িয়ে যান।

ওজন কমাতে চাইলে তো অবশ্যই এগুলি খাওয়া বন্ধ করুন।

চিনিযুক্ত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার-পানীয় কমিয়ে ফেলুন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতো পুরুষদের দিনে ৯ চামচ ও মহিলাদের ৬ চামচের বেশি চিনি খাওয়া বারণ।

রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ওজন ও ডায়াবিটিস বাড়াতে চিনির জুড়ি মেলা ভার!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কিডনির জন্য একেবারেই ভাল নয়। চা ও কফি কম পান করলে শরীর সুস্থ থাকে।

অনেকেই অভ্যেসবশত চা ও কফি পান করে থাকেন।

কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে এঁদের পরিমাণ নির্দিষ্ট রাখুন।

এছাড়াও অনেকেই প্রচুর পরিমাণে কোমল পানীয় পান করে থাকেন যাতে মাত্রার বেশি চিনি থাকে যা শরীরের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ঘুম

সর্বোপরি ভালো ঘুম সুস্থ থাকতে জরুরি।

যাঁরা রাতে ঠিক-ঠাক ঘুমাতে পারেন না, তাঁরা প্রায়ই কোনও না-কোনও রোগে ভুগতে থাকেন।

শরীর ও মস্তিষ্ক— উভয় ক্ষেত্রেই ভালো ঘুম প্রভাব বিস্তার করে।

পর্যাপ্ত ঘুম না-পেলে রাতে কফি পান করা ও দেরি পর্যন্ত জেগে থাকা বন্ধ করুন।

অন্যদিকে অবসাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

ব্রিদিং এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন ব্যক্তিকে অবসাদ মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।