পেটের চারপাশে জমে ওঠা মেদের পরতটাকে সরিয়ে ফেলতে পারলে কার না ভালো লাগবে?
সুবিধেটা হচ্ছে, পেটের ফ্যাট কমিয়ে ফেললে দেখতে ভালো লাগার পাশাপাশি অনেকগুলো সুবিধেও হবে আপনার৷
কমে যাবে হৃদরোগ আর টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কা, হাঁটুর উপর কম চাপ পড়বে৷
তা হলে আর দেরি না করে লেগে পড়ুন কোমর বেঁধে!
এমন খাবার খান যা সলিউবল ফাইবারে সমৃদ্ধ:
সলিউবল ফাইবার আমাদের পেটে অনেকক্ষণ থাকে৷ ফলে ঘন ঘন খিদে পাবে না।
অনেক বেশিক্ষণ পেট ভরে থাকার অনুভূতি হবে৷
সাধারণত উদ্ভিজ্জ খাবারেই ফাইবারের পরিমাণ বেশি হয়৷
তাই বেশি করে ফল ও সবজি খান অবশ্যই।
তাতে ফাইবারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও পাবে আপনার শরীর৷
সব রকম মিষ্টি আর কোমল পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুন:
বোতলবন্দি সফট ড্রিঙ্ক তো বটেই, বাড়িতে তৈরি শরবত, স্কোয়াশ ইত্যাদি থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷
চলবে না কোনও মিষ্টি, ফলের রস এবং এনার্জি ড্রিঙ্কও৷
চিনি হচ্ছে অর্ধেক গ্লুকোজ, অর্ধেক ফ্রুকটোজ এবং আমাদের লিভারে তা মেটাবলাইজড হয়৷
আপনি যত বেশি চিনি খাবেন, তত বেশি ফ্রুকটোজ় জমা হবে লিভারে।
এবং একটা সময়ের পর লিভার তা ফ্যাটে পরিণত করবে৷
একাধিক সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে অতিরিক্ত চিনি খেলে আপনার লিভার আর পেটে ফ্যাট জমতে বাধ্য৷
তখনই ইনসুলিনের প্রতি রেজিস্ট্যান্স তৈরি হবে শরীরে।
আরও নানা মেটাবলিক ডিসঅর্ডার দেখা দেবে৷
তবে ফ্রুকটোজ শুনেই আবার ভাববেন না যে ফল খাওয়ার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আছে৷
গোটা ফল চিবিয়ে খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর দিক আছে।
তার ফলে ফ্রুকটোযের নেগেটিভ দিকগুলি বাতিল হয়ে যায়৷
মনে রাখবেন, প্যাকেটজাত যে কোনও খাবারে, এমনকী ‘হেলথ ফুড’ তকমা লাগা খাবারেও চিনি লুকিয়ে থাকে!
প্রোটিনের মাত্রা বাড়ান:
যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রোটিনসমৃদ্ধ কোনও ডায়েট ট্রাই করে দেখতে পারেন৷
বাড়তি প্রোটিন ঠেকিয়ে রাখবে আপনার খিদের বোধ, বাড়াবে মেটাবলিজমের হার৷
বাদাম, দুধ ও দুধজাত খাবার, মাছ, ডিম (কুসুমসহ), মাংস, ডাল ইত্যাদি হচ্ছে সেরা প্রোটিন৷
এগুলি খাদ্যতালিকায় রাখার পরেও যদি মনে হয় যে যথাযথ প্রোটিন সংশ্লেষ হচ্ছে না শরীরে, তা হলে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার কথা ভেবে দেখতে পারেন৷
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমান:
কার্বোহাইড্রেট একেবারে ছেঁটে ফেলাটা খুব বড়ো ভুল৷
তবে আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট।
বিশেষ করে ময়দার মতো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট আর ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যেস গড়ে ওঠে৷
সেটা অবশ্যই বদলানো দরকার৷
ব্যায়াম করতেই হবে:
এই সব বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি ব্যায়াম না করলে কিন্তু কাংখিত ফল পাওয়ার আশা নেই৷
ব্যায়াম বলতে কিন্তু আমরা কেবল পেটের ব্যায়ামের কথাই বলছি না৷
যে কোনও কার্ডিও এক্সারসাইজ় পুরো শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়৷
সাঁতার, হাঁটা, দৌড়নোর মধ্যে থেকে যে কোনও একটা বেছে নিন৷
হাই বা লো ইন্টেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিংও ট্রাই করে দেখতে পারেন৷