যেকোনো বয়সেই আপনি হাঁটুব্যথা সমস্যায় ভুগতে পারেন।
মূলত আঘাত, ক্ষয় ও বাতের কারণে হাঁটুব্যথা হয়ে থাকে।
আর এ ব্যথা উপশমে অনেকেই পেইন কিলার খেয়ে থাকেন, যা দীর্ঘ মেয়াদে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে।
তাই ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি বিশেষ ব্যায়ামে।
সাধারণত হাঁটুর জয়েন্টের কাছে কারটিলিস নামের নরম হাড়ে ক্ষয় দেখা দিলে হাঁটুতে ব্যথা হয়।
এ ছাড়া পানি স্বল্পতা ও ভিটামিন ডি-র অভাব হলে হাঁটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু রোগও।
তাই অল্প সমস্যা থেকেই ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাসে পুরোপুরি নিরাময় না হলেও হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
আসুন জেনে নিই সেই ব্যায়াম সম্পর্কে।
লেগ রেজ
মাটিতে সোজা হয়ে শুয়ে দুই হাতের তালু মেঝের ওপর রাখুন।
এবার বাঁ-পা ধীরে ধীরে উপরে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে পা রাখতে চেষ্টা করতে হবে।
এ অবস্থায় পাঁচ সেকেন্ড পা তুলে রাখুন এবং ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন।
এই একই পদ্ধতিতে ডান পা অনুশীলন করতে হবে। শুরুর দিকে দুই পায়ে চারবার করে এই লেগ রেজ ব্যায়াম করতে পারেন।
এরপর দশবার পর্যন্ত বাড়াতে পারেন লেগ রেজের সেট।
লায়িং হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ
এই ব্যায়াম অনুশীলনেও প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে বাঁ-পা উপরে তুলুন।
তবে প্রথম ব্যায়ামের মতো ৪৫ ডিগ্রি পজিশনে নয়। এ ক্ষেত্রে মাটির সঙ্গে পা ৯০ ডিগ্রি কোণে থাকবে।
দুই হাত বাঁ-ঊরুর নিচে রেখে ভারসাম্য বজায় রাখুন। এবার বাঁ-হাঁটু আস্তে আস্তে বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন।
৩০ সেকেন্ড অনুশীলন করে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
দুই পায়ে অনুশীলনে ৩০-৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন পা।
হাফ স্কোয়াট
এই ব্যায়াম অনুশীলন করতে আপনাকে মেঝেতে শুয়ে নয়; বরং মেঝের ওপর দাঁড়িয়ে করতে হবে।
প্রথমে হাত দুটি সামনের দিকে তুলুন। এবার বসার চেষ্টা করুন।
তবে পুরোপুরি নয়। অর্ধেক বসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখেই উঠে পড়ুন।
এভাবে অন্তত দশবার অনুশীলন করতে পারেন।