ঈদুল ফিতরের থেকেও ঈদুল আজহায় গৃহিণীদের বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়।
মাংস কাটাকুটি, রান্না, অতিথি আপ্যায়ন এতসব কিছু করতে গিয়ে হাতদুটিই থাকে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত।
এর বাইরেও প্রতিদিনের কাপড় ধোয়া থেকে শুরু করে রান্না-বান্না, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি নানা কাজে হাত ছাড়া তো চলেই না।
সারাটা দিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকে আপনার হাত। কিন্তু এতো সব কাজ করার পর যখন হাতের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, তখন দেখতেও খুব খারাপ লাগে।
তবে আপনি যতই কাজ করুন না কেন, হাতের সঠিক যত্ন নিলে হাত অবশ্যই নরম ও কোমল থাকবে।
আর হাত যেহেতু সবসময়ই খোলা থাকে, একা খুব একটা আবৃত করা যায় না, তাই এর সঠিক যত্নের অবশ্যই প্রয়োজন।
গরম পানি
হাতের ত্বক ভালো রাখার জন্য সবসময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করাই উত্তম।
হাতে লবণ ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে হাতের ত্বক পরিষ্কার থাকবে।
সব কাজ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন তরল সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় ব্রাশের সাহায্যে হাতের আঙুল ও নখ পরিষ্কার করতে পারেন।
শুষ্কভাব দূর করতে
যাদের হাতের ত্বক শুষ্ক অথবা পানি নাড়াচাড়া করার ফলে যাদের হাতের ত্বকে শুষ্কভাব চলে আসে, তারা হাতে চিনি এবং অলিভ অয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
এ মিশ্রণটি তৈরি করতে চা-চামচের চার ভাগের এক ভাগ চিনির সঙ্গে সমপরিমাণ অলিভ অয়েল মেশাতে হবে।
মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে হাতের শুষ্কভাব দূর হবে।
গ্লাভস ব্যবহার করুন
হাতের ত্বক যেমনই হোক না কেন, বাসন-কোসন ধোয়ার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।
এতে হাতের ত্বক ভালো থাকবে। মাংস কাটার সময়ও গ্লাভস ব্যবহার করুন।
সব কাজ শেষে হাত ধোয়া ও শুকিয়ে নেয়ার পর হাতে ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে গ্লাভস পরে থাকতে পারেন।
এতে হাতের ত্বক কোমল থাকবে।
কালো ছোপ দূর করতে
বিভিন্ন কারণে হাতে কালো ছোপ হতে পারে। কালো ছোপ দূর করার জন্য হাতে ফেয়ার পলিশ করাতে পারেন।
ফেয়ার পলিশ করালে ধীরে ধীরে কালচে ভাব কমে আসবে।
আর যেসব সবজি কাটলে হাতে কালচে ভাব আসতে পারে, সেগুলো কাটার সময় গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন।