আপনি যা যা খান তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আপনার ত্বকের উপর। তাই আপনি মুখে কী মাখছেন, তার চাইতেও বেশি জরুরি হলো আপনি কী খাচ্ছেন!
প্রচুর পরিমাণে জাঙ্ক ফুড খেলে তার জের পোয়াতে হয় আপনার ত্বককেই!
ব্রণ-ফুসকুড়ি, কালো দাগছোপ,ত্বকের শুষ্কতার মতো নানান সমস্যায় ভুগতে শুরু করে ত্বক।
এসব ঝুটঝামেলার হাত এড়াতে চাইলে আজ থেকেই খাওয়াদাওয়ায় সামান্য বদল আনুন আর দেখুন কীভাবে হেসে ওঠে আপনার ত্বক!
ব্রণ
সেজেগুজে কোথাও বেরোনোর প্ল্যান রয়েছে, কিন্তু মোক্ষম সময়ে মুখে ব্রণ দেখা দিলো! অথবা ব্রণ হয়তো শুকিয়ে গেছে,
কিন্তু রয়ে গেছে ব্রণের দাগ!এরকম যদি নিয়মিতভাবেই আপনার সঙ্গে হতে থাকে,তা হলে সাবধান হোন।
খাবারে আয়োডিনের পরিমাণ বেশি হলে ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
আয়োডিন বেশি রয়েছে এমন খাবারের পরিমাণ কমান, বদলে সিউইড, কডলিভার অয়েল, ডিম, ছোট মাছ, খেজুর বেশি করে খান।
শুকনো ত্বক
মুখে ক্রিম মাখা সত্ত্বেও দ্রুত টান ধরছে ত্বকে? মুখ শুকনো বিবর্ণ দেখাচ্ছে?
তা হলে আপনি হয়তো পর্যাপ্ত পানি খাচ্ছেন না।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি খান, শসা, তরমুজ, লেটুসের মতো জলীয় পদার্থযুক্ত ফল আর সবজি খান বেশি করে।খাবার যথাযথ হলে ত্বকও আর্দ্র থাকবে।
মুখের ফোলাভাব
মুখ ফোলা ফোলা দেখানোর অর্থ হল আপনার শরীরে ভালো ফ্যাটের পরিমাণ কম।
এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার আপনার ত্বককে প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে।
হুইটজার্ম, আখরোট, সয়াবিন, ফ্ল্যাক্সিড, বিনজাতীয় খাবার, বাদাম রাখুন রোজকার ডায়েটে।
স্ট্রেচ মার্ক
ত্বকের ডার্মিস অংশ কোনও কারণে ছিঁড়ে গেলে ত্বকের উপরিভাগে সাদা সাদা দাগ দেখা যায়।
একেই আমরা স্ট্রেচ মার্ক বলি। খাবারে জিঙ্কের পরিমাণ কম হলে এমন হতে পারে।
স্ট্রেচ মার্ক কমাতে হলে খাবারে জিঙ্কের পরিমাণ বাড়ান।
দানাশস্য, রেডমিট, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, দই খান নিয়মিত।
অকালে বয়সের দাগ
বয়সের দাগ পড়া অবশ্যম্ভাবী, একবার মুখে বলিরেখা পড়ে গেলে তা মোছা সম্ভব নয়।তবে বয়সের ছাপ পড়ার প্রক্রিয়াটির গতি নিশ্চিতভাবেই কমানো সম্ভব।
খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না, ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান।তাতে শরীর খাদ্যের পুষ্টি পুরোপুরি শোষণ করতে পারবে। ত্বকের বয়স বাড়ার গতিও কমে যাবে।