Search
Close this search box.

ত্বকের যত্নে চাই সঠিক সানস্ক্রিন

আমরা অনেকেই প্রচুর প্রচুর সানস্ক্রিন মাখি আর ভাবি এতেই বুঝি রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে ত্বক! আসলে ব্যাপারটা অতটাও সহজ নয়!

সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে ঠিকই, কিন্তু গাদা গাদা সানস্ক্রিন মাখলেই ত্বক সুরক্ষিত হয় না।

বরং সানস্ক্রিনের পুরো উপকারিতাটা পাওয়ার জন্য কেনার সময়ই মাথায় রাখুন কয়েকটা জরুরি বিষয়।

সানস্ক্রিন কেনার সময় কী কী মাথায় রাখবেন?

কোনো প্রসাধনীর মেয়াদ ও উপাদান না দেখে কিনা উচিত না।

খেয়াল করতে হবে সানস্ক্রিনে যেন টিটানিয়াম ডিঅক্সাইড, অক্টাইল মেথোক্সিসিনামেট (ওএমসি), অ্যাভোবেনজন ও জিঙ্ক অক্সাইড থাকে।

ত্বক ব্রণ প্রবণ বা তৈলাক্ত হলে জেল বা পানি ভিত্তিক অথবা ‘নন-কমেডোজেনিক এবং হাইপোঅ্যালার্জেনিক সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

নন-কমেডোজেনিক সানস্ক্রিনই কিনুন। এই সানস্ক্রিন ত্বকের রোমছিদ্র বন্ধ করবে না, ফলে ব্রণের উপদ্রবও হবে না।

সানস্ক্রিন যেন দীর্ঘস্থায়ী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রথম শর্তই হলো তা আপনার ত্বককে এমনভাবে সুরক্ষিত রাখবে যাতে আলট্রা ভায়োলেট বি রশ্মির আপনার ত্বকে ঢুকতেই না পারে।

ইউভি-বি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে নূন্যতম ৩০ থেকে ৫০ এস.পি.এফ-যুক্ত সানস্ক্রিন কিনুন।

ইউভি-বি রশ্মির পাশাপাশি ইউভি-এ থেকেও সুরক্ষা দরকার।

কেনার আগে সানস্ক্রিনের লেবেলে PA+, PA++, PA+++ এরকম কিছু লেখা আছে কিনা দেখে নিন। যতগুলো প্লাস চিহ্ন থাকবে, আপনার ত্বকও ততই ইউভি-এ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।

মুখের সান প্রোটেকশন ক্রিম খুব ভারী হলে মুশকিল। তাই হালকা মিস্টের মতো সানস্ক্রিন স্প্রে ব্যবহার করুন। মুখ বাদে বাকি শরীরে অবশ্য ভারী সানব্লক মাখতে পারেন।

সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনার সানস্ক্রিনের এসপিএফ অন্তত ৫০ হতে হবে।

এস.পি.এফ কী? 

‘এস.পি.এফ’-এর অর্থ ‘স্পেসিফিক প্রোটেকশন ফ্যাক্টর’।

যে কোনও সানস্ক্রিন আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে আমাদের ত্বককে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে, ‘এস পি এফ’ দিয়ে আদতে সেটাই মাপা হয়।

সানস্ক্রিনে এই এই এস.পি.এফ এর মাত্রা যতটা বেশি হবে, আপনার ত্বকের সুরক্ষাও ততটা বেশি হবে।

অর্থাৎ, এস.পি.এফ-৩০ যতটা সুরক্ষা দেবে, এস.পি.এফ-৫০ এর ক্ষেত্রে নিশ্চিত ভাবে তার চেয়ে বেশি সুরক্ষা পাওয়া যাবে।

চেষ্টা করুন নূন্যতম এস পি এফ-৩০ ব্যবহার করার। এতে করে ত্বক এর ক্ষতি হবে না এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে। 

তবে যদি কড়া রোদে বের হবার দরকার পড়ে, তবে অবশ্যই এস.পি.এফ-৫০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সানস্ক্রিন মাখার আগে মনে রাখুন

সারা বছর সানস্ক্রিন মাখুন। বৃষ্টি হলে বা ঠান্ডা পড়লেও সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না।

শুধু মুখে নয়, শরীরের সমস্ত অনাবৃত অংশে সানস্ক্রিন মাখুন। সানস্ক্রিন মাখার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। তাতে আচমকা অ্যালার্জিতে ভুগতে হবে না।

তেলতেলে ত্বক হলে জেল-বেসড বা ওয়াটার-বেসড সানস্ক্রিন মাখুন। শুষ্ক ত্বক হলে বেছে নিন অয়েল-বেসড সানস্ক্রিন।

বাড়ির বাইরে থাকলে দু’ তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। 

আমরা শুধু সেই জায়গাগুলোতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করি, যেখানে পোশাক থাকে না।

এ কারণে ওই জায়গাগুলোতে কালচে ভাব থাকে, যা পুরো শরীর থেকে আলাদা মনে হয়। তাই বাইরে যাওয়ার আগে পুরো শরীরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

যদি আপনার অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

এমনকি যদি সাগরের পানিতে নামতে চান অথবা সুইমিংপুলে গোসল করতে চান, তাহলেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

না হলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে।

সরাসরি সানস্ক্রিন মাখবেন না। সানস্ক্রিন মাখার আগে অল্প করে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।