Search
Close this search box.

কিস ডে: স্পর্শের ভাষায় ভালোবাসা!

একটি ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে একটুকু ছোঁয়ার জন্য আকুলি-বিকুলি করে উঠে মন।

সেই ছোঁয়াটুকুর মধ্যে থাকে পরম মমতা। বিশ্বস্ততা। ভালোবাসার সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো চুমু বা কিস।

প্রেমের সম্পর্কে অজস্র কথা যা প্রকাশ করতে পারে না তা সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে একটি আলতো চুমু।

রোস ডে বা গোলাপ দিবস নিয়ে যে সপ্তাহের শুরু, প্রপোজ ডে বা প্রস্তাব দিবস, চকোলেট ডে বা চকোলেট দিবস, টেডি ডে,  প্রমিস ডে বা প্রতিজ্ঞা দিবস, হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস পেরিয়ে  ১৩ ফেব্রুয়ারি আসে কিস ডে বা চুম্বন দিবসের মাধ্যমে ভ্যালেন্টাইন উইকের সমাপ্তি ঘটে।

বিশেষজ্ঞরা তাদের পর্যবেক্ষণে প্রচলিত কয়েক ধরনের কাজে চুমুর ব্যবহার লক্ষ্য করেছেন

  • বয়ঃসন্ধিকালের চুমু- কিশোর কিশোরীরা তাদের ভালবাসা প্রকাশে ইউরোপ বা আমেরিকায় চুমু খেয়ে থাকে। এটা কিছুটা খেলার ছলে।
  • সেক্স বা রোমান্সে চুমু- প্রেম বা বিবাহিত জীবনে সহবাসের আগে এই চুমু খাওয়া হয়।
  • উপাসন বা আনুষ্ঠানিক কাজে চুমু- প্রাচীন রোমান সমাজে আনুষ্ঠানিক কাজে চুমু ব্যবহার করা হত। যেমন যুদ্ধে যাওয়ার আগে তরবারিতে চুমু খাওয়া হত।
  • স্নেহের সম্পর্কে চুমু- পিতামাতা বা গুরুজনরা তাদের সন্তানদের ভালবাসা প্রকাশে চুমু খেয়ে থাকেন।
  • শান্তির জন্য চুমু- চার্চের উপাসনার কাজে শান্তি স্থাপনের উদেশে চুমু খাওয়ার রেওয়াজ অনেক দিনের।
  • সম্মান প্রদর্শনের জন্য চুমু- বিভিন্ন দেশের নেতারা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এই চুমুর ব্যবহার করতেন বা এখনও করে থাকেন।
  • বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে চুমু- ইউরোপ ও আমেরিকায় সামাজিক ভাবে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে এই চুমুর ব্যবহার হয়ে থাকে।

বিভিন্ন গবেষণায়ও প্রমানিত হয়েছে- শুধু মানসিক বিষয়ই নয়, ব্যাপক মাত্রায় শারীরিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত চুমু।

জেনে নিন চুমুর উপকারিতা

  • চুম্বনে মানসিক চাপ কমে যায় অনেকখানি, এমনটাই বলছে বিজ্ঞানীরা। শারীরিক অনুশীলন করার মতোই চুমু শরীরে ‘‌হ্যাপি হরমোন’‌ নিঃসরণ করে। এ সেই হরমোন, যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবৃত্তি কমিয়ে দেয়।
  • চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে। যদিও এর কারণে কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্য খুব উপকারি।
  • যারা নিয়মিত চুমু খান, তাদের অনিদ্রার সমস্যা হয় না।
  • চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটোসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে স্নায়ু শান্ত হয়।
  • যৌন মিলন যে স্বামী-স্ত্রীকে শারীরিক আনন্দ দেয় এটি নতুন করে বলার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু তাদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
  • চুমু খাওয়ার সময় হৃৎপিণ্ড অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠায় ব্যায়ামও হয়। ফলে রক্তচাপ ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

সুতরাং আপনার চুমুর ছোঁয়ায় প্রিয়জনের মুখের নরম হাসিই বুঝিয়ে দেবে তার জীবনে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।