আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে আজ হাজির হয়েছি ওয়াটার থেরাপির সন্ধান নিয়ে।
ওয়াটার থেরাপি কী?
ওয়াটার থেরাপির নাম নিশ্চয়ই আপনি এর আগে শোনেননি? জিনিসটা কিন্তু আর কিছুই না, রুটিনমাফিক পানি পান করা।
আর এই পানি খাওয়ার ফলেই কিন্তু বদলে যেতে পারে আপনার ত্বকের হাল হকিকত।কীভাবে?
আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে আমাদের শরীরের বেশীরভাগ অংশই কিন্তু আদতে পানি। বিষেজ্ঞরা বলেন, সুস্থ থাকতে দিনে ১০-১৫ গ্লাস অন্তত পানি আমাদের খাওয়া উচিত।
আর এই পানি খাওয়া শুরু করা উচিত কিন্তু ঘুম থেকে উঠেই। কেননা তাতে নাকি অনেক উপকার এক্সট্রা পাওয়া যায়!
আসুন, জেনে নেওয়া যাক আপনার ত্বক এর গ্লো ঠিক রাখতে ‘ওয়াটার থেরাপি’র উপকারিতা।
ত্বককে স্থায়ীভাবে গ্লো দিতে
পার্মানেন্ট গ্লোয়িং স্কিন পেতে কে না চায় বলুন! আর তার জন্য ওয়াটার থেরাপি কিন্তু দারুণ একটা জিনিস।
বহু প্রাচীনকাল থেকেই কিন্তু ত্বকের যত্নে ওয়াটার থেরাপি ব্যবহার করা হয়ে এসেছে।
আর এটা তো রীতিমতো পরীক্ষিত সত্য যে আপনার ত্বককে যদি ইয়ং, ফ্রেশ আর গ্লোয়িং রাখতে চান, তাহলে ওয়াটার থেরাপি হলো বেস্ট অপশন।
আর নিয়ম করে যদি এটা করে যেতে পারেন, তাহলে ত্বকের সব সমস্যা থেকে মুক্তি তো মিলবেই, আর ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন পার্মানেন্ট গ্লোয়িং স্কিন।
টক্সিন দূর করতে
মানবদেহের ৭০-৮০%-ই কিন্তু পানি। আর আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়ম করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি খাওয়া কিন্তু খুবই জরুরি।
আপনার শরীর থেকে মল-মূত্রের মাধ্যমে টক্সিন উপাদানকে বের করতে পানি সাহায্য করে থাকে।
আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে তা কিডনির কার্যক্ষমতাকেও বজায় রাখে। পেটের গণ্ডগোলে যদি আপনি প্রায়শই ভোগেন, তাহলেও কিন্তু এই নিয়ম করে পানি খাওয়া অনেক উপকারে দেয়।
মোদ্দা কথা, শরীর থেকে টক্সিন বের করে শরীরকে আর রক্তকে ফ্রেশ রাখতে কিন্তু এই ওয়াটার থেরাপি কাজে লাগে।
আর এই টক্সিন ফ্রী শরীরের প্রভাব পড়ে আপনার ঝকঝকে স্কিনেও!
ত্বক আর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন
হাইড্রেটেড ত্বক আর শরীর কিন্তু একগুচ্ছ রোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই শরীরকে পিউরিফাই করতে পানি খাওয়া কিন্তু মাস্ট।
সকালে পানি খাওয়ার উপকারিতা
ঠিকঠাক পানি খাওয়ার তো এমনিতেই অনেক উপকারিতা। কিন্তু আপনি কি জানেন, সকালে উঠে পানি খাওয়া আপনাকে আরও কিছু বাড়তি উপকারিতা দিতে পারে।
- সকালে উঠে পানি খেলে তা শরীর থেকে টক্সিনকে বের করে দেয়, তার ফলে শরীর ফ্রেশ থাকে আর স্কিন গ্লোয়িং হয়।
- এটা আপনার শরীরের অন্ত্র পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে, ফলে আপনি যা যা খাবার খান, তার থেকে পুষ্টিগুণ সহজে অ্যাবসর্ভ করতে সাহায্য করে।
- এটা শরীরের পেশী আর রক্তের নতুন কোষের গঠনে সহায়তা করে।
- ওয়াটার থেরাপি আপনার লসিকাবাহে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সরবরাহ করে, যা আপনার শরীরের একগাদা রোগকে দূরে সরাতে সাহায্য করে।
- শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে ওয়াটার থেরাপি। বেশি পানি খাওয়ার ফলে ঘামও বেশি হয়।
- ঘাম হওয়ার ফলে শরীর থেকে ময়লা, মৃত কোষ ইত্যাদি সহজে বেড়িয়ে যায়। এর ফলে ত্বকের বয়স অকালে বেড়ে যায় না।
ওয়াটার থেরাপি কীভাবে করবেন?
ওয়াটার থেরাপি কিন্তু খুবই সোজা। সকালে ঘুম থেকে উঠে ধাপে ধাপে ৬-৭ গ্লাস পানি খেয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
তবে এর আগে কিন্তু চা বা কফি খাবেন না। বেড টি খাবার অভ্যেস নাহয় একটু ছাড়ুন! অন্য কোনো খাবারও কিন্তু খাবেন না এসময়।
তবে সাত সক্কালে উঠে এতো পানি খেলে প্রথম প্রথম আপনার একটু অস্বস্তি লাগতে পারে বৈকি! তাই প্রথমে ৩-৪ গ্লাস করে খান।
পরে আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়ান। দেখবেন শরীর ওর সাথে মানিয়ে নিচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে জল অন্তত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
তাহলে আর দেরী কীসের? কাল সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুরু করে দিন ওয়াটার থেরাপি।মাস খানেকের মধ্যেই দেখবেন গ্লোয়িং স্কিনের পার্মানেন্ট সলিউশন আপনার হাতের মুঠোয়!