সারা বছর সানস্ক্রিন মাখুন। বৃষ্টি হলে বা ঠান্ডা পড়লেও সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া যাবে না।
শুধু মুখে নয়, শরীরের সমস্ত অনাবৃত অংশে সানস্ক্রিন মাখুন। সানস্ক্রিন মাখার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন। তাতে আচমকা অ্যালার্জিতে ভুগতে হবে না।
তেলতেলে ত্বক হলে জেল-বেসড বা ওয়াটার-বেসড সানস্ক্রিন মাখুন। শুষ্ক ত্বক হলে বেছে নিন অয়েল-বেসড সানস্ক্রিন।
বাড়ির বাইরে থাকলে দু’ তিন ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
আমরা শুধু সেই জায়গাগুলোতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করি, যেখানে পোশাক থাকে না।
এ কারণে ওই জায়গাগুলোতে কালচে ভাব থাকে, যা পুরো শরীর থেকে আলাদা মনে হয়। তাই বাইরে যাওয়ার আগে পুরো শরীরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
যদি আপনার অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
এমনকি যদি সাগরের পানিতে নামতে চান অথবা সুইমিংপুলে গোসল করতে চান, তাহলেও ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
না হলে পানি এবং ঘামের সঙ্গে সানস্ক্রিন উঠে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লোশন ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক যাদের তারা অয়েল ফ্রি লোশন অথবা সানব্লক পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
সরাসরি সানস্ক্রিন মাখবেন না। সানস্ক্রিন মাখার আগে অল্প করে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহারের উপকারিতা
আসুনে জেনে নিই কেন আমরা এতো করে সানস্ক্রিন ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছি।
অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা
সূর্যরশ্মি শরীরের ভিটামিন ডি তৈরিতে করতে সহায়তা করে। তবে বেশি সময় রোদে থাকা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সানস্ক্রিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
বয়সের ছাপ দূর করে
সবাই চায় তারুণ্যময়, উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর ত্বক ধরে রাখতে।
অনেক গবেষণায় দাবী করা হয়, ৫৫ বছর বয়সের নিচের যারা নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করে তাদের ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা শতকরা ২৪ শতাংশ কমে যায়।
ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস
অতিবেগুনি রশ্মির জন্য ত্বকের সুরক্ষার স্তর পাতলা হতে থাকে।
ফলে ত্বকে নানা রকমের ক্ষতি যেমন- ক্যান্সার বিশেষত, ‘মেলানোমা’ দেখা দেয়। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে।
রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে
রোদে থাকার ফলে ত্বকে পোড়াভাব দেখা দেওয়ার পাশাপাশি ফুস্কুরি, লালচেভাব, চুলকানিও হতে পারে। এগুলো থেকে রক্ষা দিতে পারে সানস্ক্রিন।