চুল নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন? হাজারও উপায় ট্রাই করে পাতলা চুলকে ঘন করতে পারছেন না? এবার পারবেন।
কয়েকটি সামান্য ঘরোয়া উপায়ের সাহায্যে। নিয়মিত উপায়গুলো ট্রাই করুন উপকার পাবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে পাতলা চুলকে ঘন করা সম্ভব।
আমলকীর তেল
চুলে আমলকীর ব্যবহার আর নতুন করে কিছু বলার নেই। চুলকে তো মজবুত করেই, সেই সাথে চুল পরাও নিয়ন্ত্রণ করে।
এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি যা খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে।
তাহলে বুঝতেই পারছেন একটা তেল থেকে কত উপকার পেতে পারেন।
উপকরণ
- আমলকীর পাউডার ১০০ গ্রাম মত
- নারকেল তেল ২০০ গ্রাম
- ২ লিটার পানি
পদ্ধতি
প্রথমে আমলকী পাউডার পানিতে গুলিয়ে নিন। ফোটান অল্প আঁচে। পানি একদম ঘন হয়ে আসবে। মানে ২ লিটার পানি কমে ১ লিটার হয়ে যাবে।
এক্ষেত্রে কাঁচা আমলকীও ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা আমলকী ছোট ছোট টুকরো করে, পানি দিয়ে ফোটাতে পারেন।
পানি ঘন হয়ে এলে, এবার ছেঁকে একটা আলাদা জায়গায় রাখুন।
ওই পানিতে নারিকেল তেলটা দিন। আবার ফোটাতে থাকুন। যদি আমলকীর পাউডার ব্যবহার করেন, তাহলে ওই বেঁচে যাওয়া পাউডারও পানিতে দিয়ে ফোটাবেন।
আর কাঁচা আমলকী নিলে, টুকরোগুলো দেবার দরকার নেই। তেল থেকে পানি শুকিয়ে এলে, নামিয়ে নিন।
ব্যাস রেডি। একটা এয়ার টাইট পাত্রে রেখে দিন। সপ্তাহে দুদিন লাগান ভালো ফল পাবেন।
নিম তেল
চুলের ভেঙ্গে যাওয়া আটকাবে এবং চুলের বৃদ্ধি বাড়াবে।
উপকরন
- নিমের ফল
- কিছুটা জল
পদ্ধতি
নিম ফলের দানাগুলো গুড়ো করে নিন। এবার এটা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
পানি কিন্তু বেশি করে দেবেন। এবার এটা ভিজিয়ে রেখে দিন। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা মত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তারপর দেখবেন পানির ওপরে তেল ভাসবে। মানে তেলটা রেডি। এবার তেলটা আলাদা করে অন্য একটা পাত্রে রেখে দিন।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের রস জাস্ট একটা ট্রিটমেন্ট চুল গজানোর ক্ষেত্রে। পেঁয়াজের রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে সালফার। যেটা স্কাল্পে চুল গজানোর জন্য দারুন উপকারি।
এটা খুব ভালো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট হিসাবেও কাজ করে। রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।
উপকরণ
- ১টা পেঁয়াজ
- একটু পানি
পদ্ধতি
একটা পেঁয়াজ আগে একটু ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এটা ভালো করে চিপে রস বের করে নিন।
এবার এর সাথে জাস্ট একটু জল মেশান। মিশ্রণ স্কাল্পে ম্যাসাজ করে লাগান। অন্তত মিনিট ১৫ রাখুন।
খেয়াল রাখবেন
প্রতিটা পদ্ধতি যেন ঠিকঠাকভাবে হয়। এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন আশাকরি।