স্যানিটারি প্যাড জনপ্রিয় হবার কারণ এর ব্যবস্থাপনা সহজ, কারণ এটা ‘স্যানিটাইজড’ হয়ে আসে।
আর এটা জনপ্রিয় করার জন্য বিভিন্ন পর্যায় থেকে সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালানো হয়েছে।
খ্রিস্টাব্দ দশম শতকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের উদ্ভাবন হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে এখন যে ধরণের স্যানিটারি আমরা দেখি তার প্রথম বিজ্ঞাপন প্রচার হয়েছিল ১৯২১ সালে।
এই মূহুর্তে বাংলাদেশে মাসিকের সময় নারীরা যে সব জিনিস ব্যবহার করছেন, তার মধ্যে প্যাড অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য।
যদিও ন্যাশনাল হাইজিন সার্ভে অনুযায়ী বাংলাদেশে মাত্র ১৪ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। যেটা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম।
ট্যাবু ভাঙুন
পিরিয়ড বা মাসিক নারীদের অন্য সব শারীরবৃত্তীয় কাজের মতোই সাধারণ বিষয়; যদিও সমাজের একটা বড় অংশে এখনো মাসিকসংক্রান্ত কথাবার্তা নিষিদ্ধ গল্পের কাতারেই পড়ে।
মাসিক চলাকালে কয়েকটা দিন নারীদের নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
বাজারে বিক্রি হওয়া স্যানিটারি প্যাড এই সময়ে নারীদের এক অতিপ্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ।
তবে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি প্যাডের ব্যবহার শুধু আর্থিকভাবে সচ্ছল ও সচেতন মেয়েদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের কাছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার রীতিমতো বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। পুরোনো কাপড়, অস্বাস্থ্যকর তুলা দিয়েই কাজ চালাতে হয়।
কাপড় ব্যবহারের সঠিক ব্যবস্থাপনা না মানায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। এতে জরায়ুর প্রদাহ থেকে শুরু করে নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় অপরিষ্কার পুরনো কাপড় ব্যবহার করলে জরায়ু, তলপেটে ব্যথা ও মূত্রনালিতে সংক্রমণ হতে পারে।
এছাড়া জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে। ইনফেকশন দীর্ঘদিন থাকলে পরবর্তী সময় সেটি জরায়ুর ক্যান্সারে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
চিকিৎকদের মতে, মাসিক চলাকালে অব্যবস্থাপনার জন্য প্রায় ৭৩ শতাংশ নারী জরায়ু, জরায়ুমুখ ও মূত্রনালির সংক্রমণের শিকার হন, যা পরে ক্যানসারে রূপ নিতে পারে।
আপনি কি মাথা ধরার ওষুধ কিনতে গিয়ে লজ্জা পান? শাড়ি কিনতে গিয়ে বা জুতো কিনতে গিয়ে?
না, তাই তো? তা হলে ওষুধের দোকানে গিয়ে যা খুশি একটা ন্যাপকিনের প্যাকেট নিয়ে বাড়ি কেন চলে আসেন?
এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার আর এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনার ঋতুস্রাব কতদিন থাকে, তার ফ্লো কীরকম হয় সেটা আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না।
দোকানে গিয়ে সেই মতো প্যাড বেছে নিন। অনেক ব্র্যান্ড দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারযোগ্য প্যাড তৈরি করে সেগুলো কিনে নিন।