চুল নারীর প্রধান সৌন্দর্যের প্রতীক।
কিন্তু ইদানীং চুল নিয়েই পরতে হয় নানা সমস্যা।
যেমন চুল পড়া, আগা ফাটা, খুশকি, চুল লম্বা না হওয়া, চুল রুক্ষ ও নির্জীব থাকা।
এসব খুব দেখা দেয়ার মূল কারণ চুলে পুষ্টির অভাব।
ভেজাল মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণ, মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তা করা ও বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের ব্যাবহার।
এইসব সমস্যার সমাধানে আমাদের উচিত চুলের ভালোভাবে যত্ন নেয়া।
যা যা করনীয়
আমাদের মাথার ত্বক ও চুল সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
ময়লা হলে সেইখানে ফাংগাস জাতীয় ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাধে তাতে চুলে ও স্ক্যাল্পে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
আজকাল কেমিক্যাল আমাদের খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে যার কারণে শরীর ও চুলের উপর ক্ষতিকর প্রবাব ফেলছে।
বাজার করে ফল ও শাক-সবজি কিছুক্ষণের জন্য পানি তে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তাতে করে কেমিক্যাল থেকে কিছু টা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে।
ভিটামিন- ডি এর অভাবে চুল পড়ার সমস্যা ও আগা ফেটে যায়।
ভিটামিন-ডি, মানে রোদ থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি আমাদের চুলের জন্য খুব ভালো, রেগুলার ভেজা চুল আমাদের রোদে শুকাতে হবে।
তাতে আমাদের চুল ভিটামিন-ডি খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে।
রাতের বেলা চুলের যত্ন
রেগুলার হালকা গরম তেল স্ক্যাল্প এ ম্যাসাজ করবেন এতে করে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পাবে ও চুলের গ্রোথ ত্বরান্বিত হবে।
সপ্তাহে কমপক্ষে ২ দিন ন্যাচারাল হেয়ার প্যাক এপ্লাই করতে হবে।
যেমন কারিপাতা গুড়া, জবা, শিকাকাই গুড়া, নিম গুড়া এই সব উপাদান একসাথে ডিম, ও টকদই এর সাথে মিক্স করে চুলে এপ্লাই করে ৪০/৫০ মিনিট রাখতে হবে।
যাদের খুশকির সমস্যা আছে তারা লেবুর রস এক চামচ এড করে নিতে পারেন।
প্যাকটি ব্যবহার এর ফলে চুলের গ্রোথ বৃদ্ধি পাবে, চুলের ঘনত্ব বাড়বে, চুল পড়া রোধ করবে, খুশকি দূর করবে, চুল শাইনি করবে ও রুক্ষতা কমাবে।
চুলে এসেন্সিয়াল ওয়েল এর ব্যাবহার
এসেন্সিয়াল ওয়েল চুলের খুব ভালো কাজ করে তার মধ্যে বেস্ট এসেনশিয়াল ওয়েলগুলো হলো-
- রোজমেরি এসেন্সিয়াল ওয়েল
- টি ট্রি এসেন্সিয়াল ওয়েল
- ফ্রাঙ্কিনসেন্স এসেন্সিয়াল অয়েল
- পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল ওয়েল
- ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল ওয়েল
সপ্তাহে একদিন অন্তত হেয়ার মাস্ক এপ্লাই করতে হবে। মাস্ক এর পর টোনার ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।