Search
Close this search box.

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় যেসব খাবার

সুন্দর ত্বকের জন্য দেহের ভেতর থেকেও পুষ্টি দরকার।

আর সেই পুষ্টি যোগানোর একমাত্র ‍উপায় হলো খাবার।

আর কিছু খাবার রয়েছে যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নেয়া যাক সেসব খাবার সম্পর্কে।

গাজর

ত্বকের সমস্যার সমাধানে নিয়মিত গাজর খাওয়া উপকারী।

এটা বন্ধ লোমকূপ ও ব্রেক আউটের সমস্যা কমায়।

গাজর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা অতিরিক্ত সিবাম নিঃসরণ কমায়।

এটা আবন্ধ লোমকূপ পরিষ্কার করে ও ত্বকে উজ্জ্বলভাব আনে।

এছাড়াও, গাজর বিটা-ক্যারোটিন ও ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ যা প্রাকৃতিকভাবেই ‘ট্যান’ বা রোদপোড়া ভাব প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলু খেতে অনেকেই পছন্দ করে থাকেন।

মজাদার এই উপাদান ভিটামিন সি ও ই’তে ভরপুর যা উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ভিটামিন সি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় ও বয়সের ছাপ কমায়।

তাই, মসৃণ, কোমল ও তারুণ্যময় ত্বক পেতে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে পারেন।

মিষ্টি আলু সিদ্ধ বা ভাপিয়ে খাওয়া ভালো।

ভেজে খাওয়া হলে তা পুষ্টি উপাদান ও উপকারী কার্বোহাইড্রেট নষ্ট করে দেয়।

রান্না করা টমেটো

উজ্জ্বল ও তারুণ্যময় ত্বক পেতে চাইলে রান্না করা টমেটোর বিকল্প নেই।

অনেকেই রূপচর্চায় তাজা টমেটো ব্যবহার করেন।

খাবারে রান্না করা টমেটো যোগ করা জাদুকরি পুষ্টি-লাইপোসিন সরবারহ করে যা ত্বকের নানা রকম সমস্যা যেমন- ত্বক ঝুলে পড়া, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায়।

তাই ত্বক সুন্দর রাখতে নিয়মিত রান্না করা টমেটো খান।

টমেটো খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রক্রিয়াজাত, চিনি বা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা না হয়, এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।

হলুদ

ত্বকে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখতে খাবারে হলুদ যোগ করা আবশ্যক।

হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ক্ষয় থেকে বাঁচায়, লালচেভাব ও ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।

বয়সের ছাপ কমাতে ও হারানো লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে হলুদ আবশ্যক।

ত্বকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খাঁটি হলুদ ব্যবহার করা উচিত।

সিনথেটিক রং সমৃদ্ধ হলুদ ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক ও দাগ পড়ে যায়।

পেঁপে

পেঁপে কেবল ভিটামিন এ’য়ের ভালো উৎস নয় বরং এটা পেপাইনেরও ভালো উৎস।

এই দুই উপাদানই ত্বক আর্দ্র ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে।

নিয়মিত রসালো ফল পেঁপে খাওয়া ত্বকের দাগ ছোপ ও ব্রেক আউট কমায়।  

ত্বক, চুল, নখ এমনকি চোখ সুস্থ রাখতেও কমলা রংয়ের খাবার খাওয়া উপকারী।

ডিম

কেবল খেতেই সুস্বাদু না, নিয়মিত ডিম খাওয়া ত্বকের দীপ্তি বাড়াতেও সহায়তা করে।

এতে আছে সালফার যা কোলাজেন উৎপাদন করে এবং ত্বককে টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।

কুসুম খেতে পছন্দ না হলে, তা কেবল ত্বকের প্রয়োজনে ব্যবহার করুন।

এটা ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।

ডিমের তৈরি খাবার ওজন কমায় ও ত্বক সুস্থ রাখে।

পালং শাক

ভিটামিন এ, সি ও কে সমৃদ্ধ যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে এবং দাগ ছোপ ও কালচেভাব কমাতে সহায়তা করে।

এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নানান সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে।

এছাড়াও, বয়সের ছাপ কমাতে ও প্রাকৃতিক সান ব্লক হিসেবে কাজ করে।

পালং শাকে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড, যা শরীরকে দ্রুত পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি

এটা প্রদাহ নাশক ও বয়সের ছাপ প্রতিরোধক।

এই চা ভিটামিন বি-১২ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইজিসিজি সমৃদ্ধ, যা ত্বক তারুণ্যময় ও সুস্থ রাখে।

এটি ত্বকে ব্যবহার করলে ছোট খাট কাটা ছেড়া আরোগ্য হয় এবং সিবাম নিঃসরণ কমে, ফলে ব্রণও কম হয়।

গ্রিন টি খাওয়া বা ত্বক ব্যবহার করা দুভাবেই উপকারী।

টি কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন শতভাগ খাটি হয়।

কারণ এতে বাড়তি রাসায়নিক না ক্ষতিকর উপাদান যুক্ত থাকতে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।