Search
Close this search box.

ত্বকের জন্য মানানসই ফাউন্ডেশন বেছে নিবেন কীভাবে?

আপনার মুখটাকে যদি ক্যানভাস ধরা যায়, তা হলে ফাউন্ডেশন নিঃসন্দেহে সেই ক্যানভাসের বেস।

মেকআপ স্বাভাবিক ও নিখুঁত হওয়ার প্রথম ধাপই হল ফাউন্ডেশন।

বেস যত মসৃণ, নিখুঁত হবে, বাকি মেকআপটাও ততই স্বাভাবিক দেখাবে।

তাই সবার আগে ঠিকঠাক ফাউন্ডেশন চিনতে শেখাটা খুব জরুরি।

ফাউন্ডেশন যদি ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই না হয়, তা হলে কিন্তু পুরো মেকআপটা একটা মুখোশের মতো দেখাবে, মেকআপ করাটাই মাটি হয়ে যাবে।

শুরু করুন একদম গোড়া থেকে, জেনে নিন কীভাবে চিনে নেবেন আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন।

ত্বকের আন্ডারটোন চিনুন

ত্বকের রং আর আন্ডারটোনের মধ্যে তফাৎ রয়েছে।

রং হলো যেটা আপনি চোখে দেখতে পাচ্ছেন।

ভারতীয় ত্বকে সাধারণভাবে ফরসা, মাঝারি, শ্যামবর্ণ, এই তিনধরনের শেড দেখা যায়।

আর ত্বকের ঠিক নিচে যে হালকা একটা আভা দেখা যায়, সেটাই হল আন্ডারটোন।

ত্বকের আন্ডারটোন চিনতে গালের নরম অংশ আঙুলে কিছুক্ষণ টিপে ধরে রাখুন।

যদি অংশটা হালকা কমলা বা হলদে দেখায়, তা হলে আপনার আন্ডারটোন উষ্ণ অথবা ওয়ার্ম।

আর যদি গাল লাল, গোলাপি বা নীলচে হয়ে যায়, তা হলে আপনার আন্ডারটোন শীতল।

মরশুমের বদল বা রোদের প্রভাবে ত্বকের রং বদলাতে পারে, কিন্তু আন্ডারটোন কখনওই বদলায় না।

ফলে ফাউন্ডেশন কেনার সময় ত্বকের আন্ডারটোনের কথা মাথায় রেখে তবেই কিনবেন।

ফাউন্ডেশন কেনার আগে পরখ করে নিন

লিপস্টিক বা অন্য যে কোনও প্রসাধনী হাতের উলটো পিঠে লাগিয়ে টেস্ট করলেও ফাউন্ডেশন সবসময় জ লাইন অর্থাৎ চোয়ালেই লাগাবেন।

কারণ চোয়ালের ত্বকের রং আপনার আন্ডারটোনের সবচেয়ে কাছাকাছি।

কৃত্রিম আলোয় ফাউন্ডেশন দেখবেন না

দোকানের কৃত্রিম আলোয় ফাউন্ডেশন কিনলে ভুল হওয়ার আশঙ্কা ষোলোআনা।

শেড সবসময় দিনের আলোয় পরখ করবেন।

ফাউন্ডেশন ত্বকের সঙ্গে সহজেই ব্লেন্ড করে যাচ্ছে কিনা, সেটাও দেখে নিন।

সহজে ব্লেন্ড করা যায় এমন ফাউন্ডেশন বেছে নিন

এর মূল উপযোগিতা হল, এটি ত্বকের সঙ্গে মসৃণভাবে মিশে যায় এবং ত্বকের সমস্ত দাগছোপ, ত্রুটি ঢেকে দিয়ে মুখ উজ্জ্বল ঝলমলে করে তোলে।

তাই ফাউন্ডেশন কেনার আগে অবশ্যই তা একটুখানি লাগিয়ে দেখবেন।

যদি দেখেন সেটি সহজে আর মসৃণভাবে মিশে গেছে, তা হলে জানবেন এই ফাউন্ডেশনটিই আপনার ত্বকের সবচেয়ে উপযোগী।