সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ব্লগ

Egestas eu molestie lacus, rhoncus, gravida aliquet sociis vulputate faucibus tristique odio

বুক জ্বালাপোড়ায় করণীয় কী?

Table of Contents

প্রায়দিনই দুপুরে বা রাতের খাওয়াদাওয়া সারার পর আপনার শরীর জুড়ে অদ্ভুত অস্বস্তি শুরু হয়?

কোথাও নেমন্তন্ন থাকলে বা রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করলে নির্ঘাত গলা-বুকজ্বালার সমস্যা হবেই।

এর পোশাকি নাম হচ্ছে অ্যাসিড রিফ্লাক্স।

পেট ফাঁপা, গা-বমিভাব, চোঁয়া ঢেকুরের মতো সমস্যাও সাধারণত থাকে এ সব ক্ষেত্রে।

সাধারণত বাজারচলতি ওষুধপত্র খেয়েই আমরা কোনওভাবে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করি এগুলিকে।

কিন্তু যতদিন না এর সঠিক কারণ জানতে পারছেন, ততদিন সমস্যার মূলে কুঠারাঘাত করাই বা সম্ভব হবে কীভাবে?

অ্যাসিড রিফ্লাক্স কী এবং কেন হয়?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইলে আপনাকে প্রথমে নিজের শারীরবৃত্তীয় গঠন সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।

আপনার মুখ থেকে পেট পর্যন্ত খাবার পৌঁছে দেয় ইসোফেগাস বা খাদ্যনালী।

খাবার হজমের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাসট্রিক জ্যুস বা অ্যাসিডের গতিও পাকস্থলীর দিকেই হয়, অর্থাৎ তা নিচের দিকে যায়। বুক বা গলা পর্যন্ত অ্যাসিড উঠে আসাটা স্বাভাবিক নয়।

তবে এক-আধবার কোনও কারণে তা হলে বড়ো সমস্যা হয় না।

কিন্তু যদি নিয়ম করে আপনার খাদ্যনালী বেয়ে অ্যাসিড উঠে আসতে আরম্ভ করে।

তখন খাদ্যনালীর দেওয়ালে প্রদাহ বা জ্বালাভাব হয়। সেটাকেই আমরা গলা-বুক জ্বালা বলি।

খাদ্যনালী আর পাকস্থলী যে জায়গাটায় পরস্পরের সঙ্গে মিশছে সেখানে একটি পেশি থাকে।

তার নাম ইসোফেগাল স্ফিঙ্কটার।

এই পেশির কাজ হচ্ছে অ্যাসিডকে পাকস্থলীর মধ্যেই ধরে রাখা।

আপনি যখন ঢোক গিলছেন, ঢেকুর তুলছেন বা বমি করছেন একমাত্র তখনই স্ফিঙ্কটারের দরজাটা খোলার কথা।

বারবার অ্যাসিড রিফ্লাক্স হচ্ছে মানে এই পেশিটি ঠিকমতো কাজ করছে না।

যদি প্রয়োজনের বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন বা পেটে প্রচুর চর্বি থাকে, তা হলে স্ফিঙ্কটার ঠিকমতো কাজ করবে না।

তাই রিফ্লাক্স ঠেকাতে চাইলে পেটের চর্বি কমান আর একবারে পেট ঠেসে একগাদা খাবার খাবেন না।

অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, কফি, মদ, লেবুজাতীয় টক ফলের রস, কার্বোনেটেড ড্রিঙ্ক ইত্যাদি থেকেও রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে।

রাতের খাওয়া সেরেই ঘুমোতে যাওয়া আর দীর্ঘ সময় পর পর খাওয়াও খুব খারাপ অভ্যেস।

কোন কোন খাবার রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করতে পারে?

দইয়ের ঘোল: 

দই আর জল দিয়ে পাতলা ঘোল বানান, তাতে যোগ করুন সামান্য বিট নুন।

ইচ্ছে হলে কারিপাতা, কাঁচালঙ্কা, সামান্য আদা আর গোলমরিচও দিতে পারেন।

খুব শীতল অবস্থায় এই পানীয় পান করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই আরাম মিলবে।

আদা, লেবু, মধুর মিশ্রণ: 

আধ ইঞ্চিমাপের আদার টুকরো থেঁতো করে নিন, তা যোগ করুন এক গ্লাস পরিমাণ জলে।

ভালো করে ফুটিয়ে পরিমাণ অর্ধেক করুন।

লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে পান করুন ভারী খাবার খাওয়ার পর।

পুদিনা: 

পুদিনাপাতা ভালো করে ধুয়ে কুচিয়ে নিন।

এক বড়ো গ্লাস জলে পাতা যোগ করে ফোটাতে থাকুন।

পরিমাণ অর্ধেক হলে ছেঁকে রাখুন খানিকক্ষণ।

আমলকী: 

মিক্সারে আমলকী পিষে জ্যুস বের করে খেতে পারেন, কাঁচা আমলকী টুকরো মুখে ফেলে চিবোতে পারেন খাওয়াদাওয়ার পর।

আমলকী আমাদের শরীর ঠান্ডা করে।

পছন্দের ক্যাটাগরিতে পড়ুন

  • All
  • Uncategorized
  • ইনস্ট্যান্ট স্টাইলিং
  • করোনায় করণীয়
  • চুলের যত্ন
  • চোখের মেকআপ
  • চোখের যত্ন
  • ট্রেন্ডিং
  • ঠোঁটের মেকআপ
  • ঠোঁটের যত্ন
  • ত্বকের যত্ন
  • নাগরিক কোলাহলে নারী
  • নারী তুমি অনুপ্রেরণা
  • নারীকথন
  • নারীর মনের কথা
  • নারীস্বাস্থ্য
  • নেইল আর্ট
  • পুরুষকথন
  • ফিটনেস
  • ফ্যাশন
  • বডি মেকআপ
  • বিউটি টিপস
  • বেসিক টিপস
  • বেসিক মেকআপ
  • মা ও শিশুর যত্ন
  • মেকআপ
  • মেকআপ টিউটোরিয়াল
  • মেন্টাল টিপস
  • রিভিউ
  • রেসিপি
  • লাইফস্টাইল
  • স্বাস্থ্য বার্তা
  • হেয়ার স্টাইল
  • হেলথ টিপস
স্বাস্থ্য বার্তা

এই বর্ষায় শিশুকে সুস্থ রাখতে যা করবেন

কখনও কখনও একপশলা বৃষ্টির দেখা মিলছে ঠিকই, কিন্তু গ্রীষ্মের দাবদাহ আর ভ্যাপসা গরম এখনও কাটেনি। আর এমন আবহাওয়ায় শিশুরা আক্রান্ত …

স্বাস্থ্য বার্তা

এজমা থেকে বাঁচার উপায়

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনো সময়েই এজমা সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত।  তবে কিছু প্রাকৃতি উপাদান …

স্বাস্থ্য বার্তা

পানিবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে যা করবেন

প্রায়ই এখন বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও মুষলধারে তো কখনও থেমে থেমে। সঙ্গে রয়েছে গরমের আনাগোনাও। বন্যা আর জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে অনেক …

Share the Post:

Related Posts

এজমা থেকে বাঁচার উপায়

আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনো সময়েই এজমা সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত।  তবে কিছু প্রাকৃতি উপাদান

Read More

Join Our Newsletter