প্রাণ খুলে হাসতেও পারেন না। পাছে দাঁতের হলুদ ছোপ কারও চোখে পড়ে। কী যন্ত্রণা বলুন তো!
দাঁতের হলদে ভাব এমনই জেদি, যে উঠতেই চায় না।
কত শত টুথপেস্ট ব্যবহার করার পরেও শুধু দাঁতের এই হলুদ ছোপ দাগ বিগড়ে দিচ্ছে সব আনন্দ।
তাই শুধু টুথপেস্ট নয়, এই ছোপ তুলতে কাজে লাগান অন্য কিছু।
সেটা হলো অ্যাকটিভেটেড চারকোল।
ভুরু না কুঁচকে আগে কাজে লাগান একে। আর তারপর জাস্ট দেখুন পার্থক্যটা।
কেন অ্যাকটিভেটেড চারকোল?
অ্যাকটিভেটেড চারকোল কিন্তু সত্যি বেশ ভালো কাজ দেয় দাঁত পরিষ্কার ও দাঁতকে সাদা করার কাজে।
এটা মুখের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে নির্মূল করে দেয়।
এই জন্য কোন সময়ে শরীরে যদি ফুড পয়েজেন হয়ে যায়।
চিকিৎসাক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা হয় শরীরের বিষ বার করার জন্য।
কারণ একটা সমস্ত বিষকে টেনে নেয়।
শুধু এই ধরণের বিষই নয়, শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিনও খুব সহজেই বার করে আনতে পারে।
এটা শরীরের সমস্ত ক্ষতিকর বিষ, টক্সিন, কেমিক্যাল সব কিছুকে টেনে নেয়, খুব কম সময়ে।
তাই শরীরে কোনো রকম বিষক্রিয়া হলে, চিকিৎসায় এটা কাজে লাগানো হয় তাড়াতাড়ি বিষকে বার করার জন্য।
তাই মুখের ভেতর জমে থাকা ব্যাকটেরিয়াকেও দ্রুত নির্মূল করে এটি।
এবং জমে থাকা নোংরা ও কালো ছোপও।
তার ফলে দাঁত যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনই সাদাও হয়।
দাঁতের জেদি হলুদ দাগকে তুলে দেয়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
অ্যাকটিভেটেড চারকোল পাউডার কিনতে পাবেন। যদি দোকানে না পান তাহলে অনলাইন তো পেয়েই যাবেন।
এটা আপনার প্রতিদিনের টুথপেস্টের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। মানে আগে টুথ ব্রাশ ভালো করে ভিজিয়ে নিন।
তারপর হাতে একটু পেস্ট নিন, এর সাথে চারকোল পাউডার একটু মেশান। বেশি লাগবে না। একটুতেই কাজ হবে।
টুথ পেস্টের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এটা দিয়ে ব্রাশ করুন।
বিশেষত যে জায়গাগুলোতে কালো বা হলুদ ছোপ সেই জায়গাগুলো ভালো করে ব্রাশ করুন।
তিন থেকে পাঁচ মিনিট ব্রাশ করুন। তারপর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।
এটা সপ্তাহে একদিন করুন। রোজ করার দরকার নেই। এতেই কাজ হবে।
টুথ পেস্টের সাথে মিশিয়ে যেমন ব্যবহার করতে পারেন, তেমনই শুধুও একে ব্যবহার করা যায়।
অ্যাকটিভেটেড চারকোল এর ক্যাপসুলও ব্যবহার করতে পারেন যেটার মধ্যে পাউডার থাকে।
ব্রাশ আগে ভালো করে ভিজিয়ে নিন। তারপর ক্যাপসুল থেকে পাউডার বার করে, এতে দিন। এটা দিয়ে ব্রাশ করুন।
৩ মিনিট মত ব্রাশ করুন। তারপর মুখ ধুয়ে নিন ভালো করে।
এটাও সপ্তাহে একদিন করলেই ভালো কাজ হবে।
এর কি কোনও সাইড এফেক্ট আছে?
হ্যাঁ, একটু সাইড এফেক্ট তো আছেই। তবে সেটা মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করলে।
সপ্তাহে একদিন বা মাসে দুদিন করলে তেমন ক্ষতি হবার কোনো সম্ভবনা নেই।
কিন্তু রোজ এটা দিয়ে ব্রাশ করা ঠিক নয়। রোজ ব্রাশ করলে দাঁত তো সাদা হবে। কিন্তু মাড়ি কালো হয়ে যেতে পারে।
মানে মাড়িতে একটু কালো ছোপ পড়তে পারে। কারণ এটা গাঢ় কালো পাউডার।
এছাড়াও খুব বেশি এটা ব্যবহার করলে, অনেক সময় দাঁতের এনামেলেরও ক্ষতি হতে পারে।
তবে এগুলো হতে পারে রোজ এটা দিয়ে ব্রাশ করার ফলে, বা দিনে দুবার এটা দিয়ে ব্রাশ করলে। সপ্তাহে একদিন করলে ক্ষতি হবে না।
তবে এটা দিয়ে ব্রাশ করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
ব্যাস তাহলে চিন্তা থাকবে না কোনো।
তাহলে বুঝে গেছেন তো দাঁত সাদা করার উপায়।
তাহলে এখন থেকে ব্যবহার করতে পারেন অ্যাকটিভেটেড চারকোল। ব্যাস, তারপর আর হাসি লুকাতে হবে না।