পুষ্টির সঙ্গে আপোস করবেন না, তা হলে ঠকতে হবে।
বাড়িতে বন্দি থাকতে থাকতে এমনিতেই বাড়তি চাপ পড়ছে আমাদের শরীর আর মনের উপর।
তার উপর যদি ডায়েটে গোলমাল হয়, তা হলে আরও বিপদ।
শরীর দুর্বল হওয়া মানেই আপনার ইমিউনিটিও কমেছে আর আজকের পরিস্থিতিতে কম ইমিউনিটি মানেই ভাইরাল ইনফেকশনের আশঙ্কা বাড়বে।
এমতাবস্থায় পরামর্শ হচ্ছে, “খাবারে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন সি আর প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে, তবেই বাড়বে আপনার প্রতিরোধক্ষমতা।”
প্রোটিনের সেরা উৎস হিসেবে আস্থা রাখতে পারেন চিকেন, ডিম, ডাল আর মাছে।
বরফের পুরোনো মাছ নয়, খুঁজুন টাটকা মাছ। তা না পেলে ডিম বা চিকেনই ভালো।
সবজি দিয়ে মাছের ঝোল বা চিকেন স্টু খুব ভালো ও পুষ্টিকর রান্না। যাঁরা নিরামিষ পছন্দ করেন, তাঁরা ডালে সবজি দিন।
খুব ভালো করে ধুয়ে শাকপাতা খাওয়া যায়। দুধ, দই বা ছানাও চলবে। ছানার ডালনা বা ছোলার ডাল দিয়ে লুচিও চলতে পারে এক-আধদিন।
চিকেন বা মাছ আর পছন্দের সবজি অল্প তেল দিয়ে রোস্ট করেও নিতে পারেন।
তবে খিদে না পেলে খাবেন না আর পেট পুরো ভরার একটু আগে খাওয়া বন্ধ করুন।
ধীরে ধীরে খাওয়ার পরিমাণ কমাতে পারলে ওজনও কমতে আরম্ভ করবে কিছুদিন পর থেকেই।
ছাতুর শরবত, ছোলা সেদ্ধ-মুড়ি, শসা বা পেয়ারা জাতীয় ফল রাখুন বিকেলের খিদে মেটানোর জন্য।
এমন খাবার খান, যাতে বাড়তি নুন, মিষ্টি, তেল নেই। প্যাকেটজাত খাবার বন্ধ, বদলে ফল খেতে পারেন।
জল খাওয়ার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন। একে গরম বাড়ছে রোজ, তার উপর শরীর আর্দ্র রাখা একান্ত আবশ্যক।
ডাবের জল, ফলের রসও চলতে পারে। ডাল রান্না করুন পাতলা করে, বিশেষ করে বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের খাবারে তরলের পরিমাণ যেন বেশি থাকে তা দেখতে হবে।
নুন আর চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমানো উচিত সকলেরই।