Search
Close this search box.

বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকের যত্নে করণীয়

মুখের যত্ন তো আমরা সকলেই নিয়ম করে নিই, কিন্তু হাত? হাতের বেলায় যেমন তেমন করে একটু ময়শ্চারাইজার ঘষেই কাজ সেরে ফেলতে অভ্যস্ত আমরা, খুব বেশি হলে মাসে একবার ম্যানিকিওর!

কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট? বিশেষ করে সমস্ত রকম কাজের ঝড়ঝাপটা পোহাতে হয় যে হাতকে, তাকে নিয়ে কি এমন হেলাফেলা করা উচিত?

মনে রাখতে হবে, বয়সের দাগ কিন্তু মুখের আগে হাতের ত্বকেই বেশি বোঝা যায়! তাই মুখের মতোই হাতের একইরকম গুরুত্ব দিয়ে যত্নআত্তি করা দরকার! শুধু হাতই নয়, পা সহ সারা শরীরের যত্ন নেয়াটা খুবই জরুরি।

তবে রাতারাতি আপনার হাতের ত্বক কুঁচকে যাবে, তা কিন্তু নয়! বয়সের ছাপ পড়ার আগে নানা সতর্কবার্তা আপনাকে আগাম পাঠাতে শুরু করে হাত।

আপনার কাজ হলো সে সব সতর্কবার্তা পেয়ে সচেতন হওয়া।

রইলো কিছু লক্ষণ, যা দেখতে পেলে বুঝতে পারবেন এবার মুখের মতো সারা শরীরের নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে।

শুকনো, কোঁচকানো ত্বক

শীতের দিনে হাতের চামড়ায় টান ধরা বা কোঁচকানোভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক।কিন্তু যদি সারা বছর ধরেই নিয়মিত ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করা সত্ত্বেও আপনার হাত শুকনো আর কোঁচকানো দেখায়, তাহলে সাধারণ ময়শ্চারাইজারের উপর নির্ভর না করে বিশেষভাবে হাতের জন্য তৈরি হাইড্রেটিং হ্যান্ড ক্রিম বেছে নিন।

যেহেতু কাপড় কাচা, বাসন মাজা, রান্না করার মতো কড়া পরিশ্রমের কাজ করতে হয় হাতকে,তাই তার দরকার ঘন ভারী ক্রিমের পুষ্টি আর পরিচর্যা। হাইড্রেটিং হ্যান্ড ক্রিম সে চাহিদা মেটাতে পারবে।

বয়সজনিত দাগছোপ

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতের চামড়ায় অনেকেরই ছিটছিট দাগ দেখা দেয়, হাতের চামড়ার রঙে হেরফের হতে শুরু করে, আঁচিল বা ডার্ক স্পট বেরোয়।এসবই হাতে বয়সের দাগ দেখা দেওয়ার লক্ষণ।

তাই যে অ্যান্টি-এজিং ক্রিমটা রোজ মুখে মাখেন, তার একটুখানি নিয়ে হাতের পাতা আর কবজিতে ভালো করে মেখে নিন। রোদে বেরোনোর আগে মুখের মতো হাতেও ব্রড স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন অবশ্যই মাখবেন।

নখ ভাঙার প্রবণতা

অস্বাস্থ্যকর এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে, অথবা হাত রাসায়নিক পদার্থের বা জলের একটানা সংস্পর্শে এলে নখ শুকনো আর ভঙ্গুর হয়ে যায়।

বাড়ির কাজ করার সময় হাতের সুরক্ষার জন্য গ্লাভস বা দস্তানা ব্যবহার করুন। নখের স্বাস্থ্য ফেরাতে খাবারে যোগ করুন বাড়তি ক্যালসিয়াম আর আয়রন। সমস্ত কাজের শেষে ভালো করে হাত ধুয়ে ভারী হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিন।

কড়া পড়া

এটি আসলে শক্ত হয়ে যাওয়া ত্বকের পরত। ত্বকের কোনও অংশে নিয়মিতভাবে চাপ পড়লে বা ঘষা লাগলে কড়া পড়তে পারে।

যারা খেলাধুলো করেন বা নিয়মিত জিমে যান, তাদের হাতে অনেক সময়ই কড়া পড়ে যায়।

এমনিতে আলাদা করে ক্ষতি না হলেও কড়া পড়া হাত দেখতে খারাপ লাগে, তা ছাড়া কড়ায় ব্যথাও হতে পারে।

তাই কড়া পড়ছে বলে মনে হলেই প্যাডিং দেওয়া গ্লাভস ব্যবহার করতে শুরু করুন, তাতে হাত কোমল আর মসৃণ থাকবে।

আঙুলের ফোলা ভাব

যদিও এটি ঠিক সরাসরি ত্বকের সমস্যা নয়,তবুও আঙুল ফুলে ওঠার পিছনে কোনও না কোনও কারণ থাকে! অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, গরম বাষ্প আর দীর্ঘ বিমানযাত্রার কারণে আপনার আঙুলে ফোলা ভাব আসতে পারে।

তবে যদি দেখেন, এই ফোলা ভাব রয়েই গেছে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাতে ভবিষ্যতে সংক্রমণের ভয় এড়াতে পারবেন।