বয়সের কাঁটা থামিয়ে দেওয়া এক কথায় অসম্ভব!
একটা সময় পর চোখের কোনায়, ঠোঁটের পাশে সূক্ষ্ম রেখা স্পষ্ট হওয়াটা অবশ্যম্ভাবী!
কিন্তু তা বলে কি বিনা যুদ্ধে বয়সের সামনে আত্মসমর্পণ করবেন? কখনওই না!
তার মানে অবশ্য কসমেটিক সার্জারি বা তেমন কোনও কঠিন পথে হাঁটার কথা বলছি না!
বরং বেছে নিতে পারেন বেশ কিছু প্রাকৃতিক আর সহজ পদ্ধতি যা আপনার মুখে বয়সের ছাপ পড়ার প্রক্রিয়ার গতি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে!
রইলো তেমনই কিছু পরামর্শ!
কোমলভাবে মুখ পরিষ্কার
মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি, কিন্তু রুক্ষভাবে হাত চালালে ত্বকের ক্ষতি হয়ে যাবে।
মুখে ফেসওয়াশ বা স্ক্রাব লাগানোর পর ধীরে ধীরে বৃত্তাকারে হাত ঘুরিয়ে পরিষ্কার করুন, যাতে ত্বকে ঘষা না লাগে।
ত্বকের উপরিতল কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বয়সের ছাপ পড়ে দ্রুত।
সপ্তাহে চারদিন ব্যায়াম
যাঁরা সপ্তাহে চারদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করেন, তাঁদের ত্বকের জেল্লাও বেশি হয়।
কারণ ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত সংবহন জোরদার হয় এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বাইরে বেরিয়ে যায়।
আপনার যদি আলাদা করে ব্যায়াম করার সময় না থাকে, তাহলে রোজ অন্তত খানিকটা জোরকদমে হাঁটা অভ্যেস করুন।
লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠুন। এসব ছোট ছোট অভ্যেসই আপনার ত্বকের ভোল বদলে দেবে।
প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রূপচর্চা
অধিকাংশ বাজারি রূপচর্চার সরঞ্জামে কেমিক্যাল ভর্তি থাকে।
এসব প্রডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বকে আগে আগে বয়সের ছাপ পড়তে পারে।
প্যারাবেন বা অন্যান্য বিষাক্ত কেমিক্যাল যুক্ত স্কিনকেয়ার সামগ্রী ব্যবহার করবেন না।
বরং হাতে সময় থাকলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে নিজেই বানিয়ে নিন উপটান।
আর সে সময় না পেলে খুব খুঁটিয়ে লেবেল দেখে তবেই স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট কিনবেন।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরা খাবার খান
ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ফ্রি র্যাডিক্যাল জনিত ক্ষতি।
প্রতিদিন ধুলোবালি, দূষণ বা সূর্যের তাপে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা থেকেই অকালে বলিরেখার ছাপ পড়ে মুখে।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ খাবার খেলে কোষের ক্ষতি আর বয়সের ছাপ, দুইই প্রতিহত করা সম্ভব।
গ্রীন টি, বেরিজাতীয় ফল, পালং শাক, গাজর, বাদাম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ বেশি করে খান।
এসবই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভাঁড়ার।
ধূমপান কিংবা অ্যালকোহল বর্জন করুন
সিগারেট খাওয়ার অভ্যেস থাকলে এক্ষুনি ছাড়তে হবে।
ধূমপান করলে মুখে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে যায়, মুখে বলিরেখা দেখা দেয়, তা ছাড়া গায়ের রংও বিবর্ণ হয়ে যায়।
একইভাবে নিয়মিত অ্যালকোহল পানের অভ্যেস থাকলেও ত্বক মারাত্মক শুকনো হয়ে যেতে পারে।
একটানা অভ্যেসের ফলে ত্বকে যে ক্ষতি হয় তা আর পূরণ করা সম্ভব নয়।
কাজেই তারুণ্যে ঝলমলে সতেজ ত্বক চাইলে সিগারেট আর মদ এক্ষুনি ছাড়ুন।