ছেলেবেলার এমন কিছু ট্রমা থাকে, যা বড়ো বয়সেও চট করে কাটিয়ে ওঠা যায় না।
ভেবে দেখুন, গরমের ছুটি পড়তে না পড়তেই কি বিচ্ছিরি একটা আক্রমণ হত আপনার উপর !
বাড়ির বড়োরা বকে, বুঝিয়ে, শেষটায় ধরে-বেঁধে ন্যাড়া হতে বাধ্য করতেন, তাই না?
স্তুতিবাক্য ছিল একটাই, তাতে বড়ো হয়ে দারুণ চুল গজাবে!
ছুটির শেষে স্কুলে ফেরার সময় লজ্জার অন্ত থাকত না!
আজ যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখেন যে চুল যেমন পাতলা ছিল, তেমনটাই রয়ে গিয়েছে।
রাগ হয় না মায়ের উপর, সত্যি করে বলুন?
ন্যাড়া হলেই যে ভালো চুল গজাবে, এ কথাটার সত্যিই কিন্তু কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই!
এমনকি অনেকে তো বড়ো বয়সে মাথার চুল পাতলা হতে বা পেকে যেতে আরম্ভ করলেও চুল ফেলে দেওয়ার কথা ভাবেন!
খেয়াল রাখবেন, ন্যাড়া হওয়ার অর্থ হচ্ছে আপনি মাথার উপরে চুলের যতটুকু অংশ আছে, কেবল সেটুকুকেই বাতিল করে দিচ্ছেন।
এর ফলে আপনার হেয়ার ফলিকলের স্বাস্থ্যোন্নতি হওয়া সম্ভব নয়।
তবে যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন, তাদের মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ খুশকি।
এই খুশকির কারণেই আপনার মাথায় চুল টিকতে পারেনা।
এই খুশকি যতদিন আপনার মাথায় আছে, ততদিন কোন দূর্বল চুল আপনার মাথায় টিকতে পারবে না।
চুলের স্বাস্থ্যে জিন বা বংশগতির ধারার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
তাই বাচ্চাকে যত বারই ন্যাড়া করুন না কেন, সে পরিবারের আর সকলের মতোই চুলের ধারা পাবে।
তবে হ্যাঁ, অনেকের মাথায় সাঙ্ঘাতিক ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। হতে পারে খুশকি বা ফোঁড়ার মতো সমস্যাও।
সেক্ষেত্রে যদি ডাক্তাররা বিশেষ ওষুধপত্র লাগানোর জন্য ন্যাড়া হওয়ার বিধান দেন, তাহলে সেটা মেনে চললেই ভালো করবেন।