নরমাল স্কিন অ্যাচিভ করা মোটামুটি সবারই ড্রিম!
স্কিন যদি অতিরিক্ত অয়েলি বা ড্রাই না হয় অথবা স্কিনে যদি কোনো সেন্সিটিভিটি না থাকে, তাহলে সে স্কিন টাইপ নরমাল।
ন্যাচারালি যাদের স্কিন টাইপ নরমাল তাদের লাইফে স্কিন নিয়ে ঝামেলা অনেক কম।
কিন্তু তার মানে এই না যে নরমাল স্কিনের কোনো টেক কেয়ার এর প্রয়োজন নেই!
নরমাল স্কিন মেইনটেন করতে রেগুলার টেক কেয়ার খুবই ইম্পর্ট্যান্ট।
আজকে শেয়ার করবো নরমাল স্কিন মেইনটেন করার একটা প্রপার স্কিন কেয়ার রুটিন।
ফেস ক্লিন রাখতে রেগুলার ক্লিনজিং
স্কিন কেয়ার রুটিনের সবচেয়ে বেসিক ও ইম্পর্ট্যান্ট স্টেপ হচ্ছে ক্লিনজিং।
স্কিন টাইপ যাই হোক না কেন, ক্লিনজিং-এর কিছু বেসিক নিয়ম ফলো করা উচিত।
যেমন দিনে দুইবারের বেশি মুখ ধুলে স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল নষ্ট হয়ে যায়।
তাই সকালে ও রাতে একটা মাইল্ড ফেইসওয়াশ দিয়ে ভালোমতো ফেস ক্লিন জরুরি।
হাইড্রেটেড ও সফ্ট স্কিন পেতে ময়েশ্চারাইজার
স্কিনে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করার বেস্ট টাইম হচ্ছে মুখ ধোয়ার ঠিক পরপর।
মুখ ধোয়ার পর স্কিন যখন একটু ভেজা থাকে তখন ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করার ট্রাই করো।
এতে সহজেই স্কিনে ময়েশ্চার লক হয় ও স্কিন সারাদিন হাইড্রেটেড থাকে।
নরমাল স্কিনের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তুমি তোমার পছন্দমতো যেকোনো ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করতে পারো।
তবে আমার সাজেশন হচ্ছে দিনে লাইট ময়েশ্চারাইজার ইউজ করলেও, রাতে একটু ভারী ময়েশ্চারাইজার ইউজ করা উচিত।
এতে সারা রাত তোমার স্কিন হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চার্ড থা্কবে।
সান থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন
নরমাল স্কিন মেইনটেন করার সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট স্টেপ হচ্ছে রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ইউজ করা।
সানস্ক্রিন UV rays, ফাইন লাইনস, সান বার্ন ও রিংকেল্স থেকে স্কিন প্রোটেক্ট করে।
স্কিনে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করার বেস্ট টাইম হচ্ছে ময়েশ্চারাইজার ইউজ করার পর এবং রোদে বের হবার মিনিমাম ৩০ মিনিট আগে।
ন্যাচারাল ফেস মাস্ক
তোমার স্কিন ন্যাচারালি গ্লোয়িং ও সুন্দর রাখতে প্রতি উইকে ১-২ দিন এই মাস্কটি ইউজ করতে ট্রাই করো।
আমি একদম হাতের কাছের ২টি ইনগ্রেডিয়েন্ট দিয়ে এই ন্যাচারাল মাস্ক বানাতে ট্রাই করেছি।
কফি লাভারদের জন্য এটা হতে পারে সব থেকে ইজি ফেস মাস্ক!
যা যা লাগবে:
- ১ টেবিল চামচ কফি পাউডার
- ১.৫ টেবিল চামচ লিকুইড দুধ
কফি ও দুধ ভালোভাবে মিক্স করে মাস্কটি ফেস ও ঘাড়ে অ্যাপ্লাই করো।
অ্যাপ্লাই করার আগে অবশ্যই স্কিন ভালোমতো ক্লিন করে নিবে।
১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি ১-২ মিনিট খুব সফ্টলি ম্যাসাজ করো, এরপর ধুয়ে ফেলো।
এই মাস্ক তোমার স্কিনের ডেড সেল এক্সফোলিয়েট করে স্কিন সফ্ট ও গ্লোয়িং করবে।
রাতে ডাবল ক্লিনজিং
সকালে ক্লিনজিং-এ জাস্ট ফেসওয়াশ এনাফ হলেও রাতে দরকার ডাবল ক্লিনজিং।
কারণ সারাদিনে তোমার স্কিনে যে ডার্ট, ধুলোবালি ও মেকআপ লেগে থাকে তা শুধু একটি ফেসওয়াশ দিয়ে ক্লিন হয় না।
ডাবল ক্লিনজিং-এর প্রথম স্টেপে মেকআপ রিমুভার বা মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে ভালোমতো স্কিন ক্লিন করে নাও।
এরপর ফেসওয়াশ দিয়ে ফেস ধুয়ে ফেলো।
রাতের স্কিন কেয়ার রুটিনে যদি কোনো স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েন্ট রাখতে চাও, তা অবশ্যই মেকআপ রিমুভের পর অ্যাপ্লাই করবে।
টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং
পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর স্কিনে ক্লোরিন এবং মিনারেল থেকে যায়, যা স্কিনের ইরিটেশন তৈরি করতে পারে।
টোনার স্কিনের এই ক্লোরিন এবং মিনারেল রিমুভ করতে হেল্প করে।
এছাড়াও স্কিনের স্পট ব্যালেন্স এবং পোরস টাইট করতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
প্রতিদিন রাতে তোমার পছন্দমতো কোনো টোনার ইউজ করতে পারো।
তোমার যদি টোনার কিনে এক্সট্রা টাকা খরচ করতে ইচ্ছে না হয়, তাহলে খুব সহজে বাড়িতেই টোনার বানিয়ে নিতে পারো।
যা যা লাগবে:
- গ্রিন টি ব্যাগ ২টি
- অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ১/৪ কাপ
গ্রিন টি ব্যাগ গরম পানিতে ফুটিয়ে লিকার করে নাও।
লিকারটি ঠান্ডা হলে এতে ভিনেগার মিক্স করো।
একটি ক্লিন গ্লাস জারে টোনারটি ১ উইক পর্যন্ত ফ্রিজে প্রিজার্ভ করা যাবে।
টোনারটি কটন প্যাড বা কটন বল দিয়ে প্রতিদিন রাতে স্কিনে অ্যাপ্লাই করো।
ভিনেগার স্কিনের pH লেভেল ব্যালেন্স করে স্কিন হেলদি ও গ্লোয়িং রাখে।
এবার ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে তোমার স্কিন কেয়ার রুটিন কমপ্লিট করো।
স্কিন টাইপ যাই হোক না কেন প্রপার ও রেগুলার কেয়ার ছাড়া হাজারটা স্কিন প্রবলেম শুরু হয়।
তাই তোমার নরমাল স্কিনকে নরমাল ও হেল্দি রাখতে রেগুলার এই স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করার ট্রাই করো।