কালোজিরা নানা ধরনের রোগব্যাধি থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম। কারণ এতে উপস্থিত রয়েছে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান।
কালোজিরা থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
বর্তমানে কালোজিরার তৈরি ক্যাপসুলও বাজারে পাওয়া যায়। কালোজিরাতে ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা, ৩৫ শতাংশ স্নেহ বা ভেষজ তেল ও চর্বি উপস্থিত রয়েছে।
এছাড়া উপস্থিত রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
প্রতি গ্রাম কালোজিরায় প্রোটিন উপস্থিত রয়েছে ২০৮ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রোগ্রাম, আয়রন ১০৫ মাইক্রোগ্রাম,
ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম, কপার ১৮ মাইক্রোগ্রাম, জিংক ৬০ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন ৫৭ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রোগ্রাম এবং ফোলাসিন ৬১০ আইউ।
বলতে গেলে কালোজিরা একাধিক পুষ্টি ও ওষধিগুনে ভরপুর। আমরা সকলেই প্রায় কালোজিরা খেয়ে থাকি।
কিন্তু আমরা হয়তো কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা।
আজ আমরা আপনাদের সামনে কালোজিরা উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরেছি।
আসুন এক নজরে দেখে নিন কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি –
সর্দি কাশি থেকে নিরাময়
সর্দি কাশির মতো সমস্যা থেকে খুব দ্রুত নিরাময় দিতে সক্ষম কালোজিরা।
যে সকল বেক্তিরা সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় ভুগছেন, তারা প্রতিনিয়ত এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিনে ৩ বার সেবন করুন।
খুব সহজেই সর্দি কাশি থেকে নিরাময় পাবেন।
এছাড়াও এক চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু এবং তুলসী পাতার রস মিশিয়ে সেবন করলে খুব দ্রুত সর্দি কাশি ও জ্বর থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।
চুল পড়া রোধে
চুল পড়ার মত সমস্যার হাত থেকে মুক্তি দিতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম।
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগাতে এবং চুলের গোঁড়া মজবুত করতে সক্ষম।
কালিজিরার তেল প্রতিনিয়ত চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হয়।
তাই চুলের যত্ন নিতে ও চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে নিয়াময় পেতে প্রতিনিয়ত কালোজিরার তেল ব্যাবহার করতে পারেন।
ওজন কমাতে
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সক্ষম কালোজিরা।
কালোজিরাতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ওজন কমাতে কালিজিরার তেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কালোজিরার ভুমিকা অতুলনীয়।
কালোজিরাতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান গুলি মানবদেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।
গরম চা অথবা জলের সঙ্গে কালোজিরা যদি প্রতিনিয়ত সেবন করা হয়, তাহলে উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কালোজিরার ভূমিকা অপরিসীম।
মুখের কালো দাগ এবং ব্রণ সারাতে সক্ষম কালোজিরা।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কালোজিরার তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন এবং এটি দিনে দুইবার মুখে লাগান।
নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে থাকলে মুখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন এবং বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা।