নাগরিক জীবনে প্রতিদিনের ব্যস্ততায় কাজ করতে করতে অনেকেই হাঁপিয়ে উঠেন।
টানা কাজে ক্লান্তিও বোধ করেন। সেজন্য অবশ্য কেউ কেউ চা বা কফিতেও চুুমক দেন।
কিন্তু প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন না।
এর থেকে পরিত্রান দিতে পারে ন্যাপ কিংবা আরও সহজ করে বললে কাজের ফাঁকে অল্প করে ঘুমিয়ে নেওয়া।
পাওয়ার ন্যাপের আছে অসাধারণ ক্ষমতা।
দিনের বেলায় এক পশলা বৃষ্টির মতো অল্পসময়ের নিদ্রা আপনাকে করে তুলতে পারে নতুন করে উদ্যমী।
ফিরে পেতে পারেন আপনার কর্মষ্পৃহা ও উৎসাহ।
ন্যাপ আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে রিস্টার্ট করে আপনাকে দেবে কাজের অভাবনীয় শক্তি।
তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো, ন্যাপ কিন্তু দুই বা তিন ঘণ্টার নাক ডাকা ঘুম নয়।
এমনকি এক ঘণ্টাও নয়।
একটি ন্যাপের দৈর্ঘ্য হয়ে পারে ২০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিনিট।
প্রডাক্টিভিটি বৃদ্ধি
কাজের মাঝে ৩০ মিনিটের ছোট্ট ঘুম নিঃসন্দেহে আপনার উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেবে।
পাশপাশি সচেতনতা বাড়াবে এবং যে কোনো কাজ দ্রুত শেষ করার প্রবণতা বৃদ্ধি করবে।
ন্যাপ মস্তিষ্কের জন্যও অনেক ভালো।
এ সময়টাতে মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় এবং পরবর্তী কাজে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করে।
হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
বেশ কতগুলো গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিনের বেলার স্বল্প এ ঘুম বা ন্যাপ মানুষের হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা উন্নতি করে।
যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তারা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ন্যাপের মাধ্যমে।
অনুরূপভাবে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, বিকেল বেলার একটি ন্যাপ রক্তচাপ কমায়।
মুড ভালো করে
যারা ন্যাপ নেয়, তারা সবাই ন্যাপিং পছন্দ করে এবং সতেজ বোধ করে।
এই ‘ফিল গুড বা সতেজ অনুভব’ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং মানুষকে কাজে মোটিভেটেড রাখে।