পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে বাদামের কোনো বিকল্প হয় না।
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বাদাম খুবই উপকারী।
এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসহ আরও কত কী যে আছে।
যা নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
বাদাম নিয়মিত খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। এমনই দাবি করা হয়েছে গবেষণায়।
কারণ, বাদামে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট আর প্রোটিন থাকে যথেষ্ট মাত্রায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাদাম যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে আসে।
প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে
মাত্র ১ গ্রাম কাজু বা কাঠবাদামে রয়েছে ১৫০-১৭০ ক্যালরি।
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার যা মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে কোনো ধরণের বাড়তি ক্যালরি ছাড়াই।
মাত্র ১/৪ কাপ বাদামে রয়েছে প্রায় ৮ গ্রাম প্রোটিন।
এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ম্যাগনেসিয়ামের বেশ ভালো উৎস যা দেহের মাংসপেশি গঠনে সহায়তা করে
ক্যানসার নিয়ন্ত্রণ করে
বাদামে ফোলিক অ্যাসিড আর ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে।
এই দুই অ্যাসিড কোলন ক্যানসারের মতো রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
অ্যালজাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালজাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বাদাম।
তাই ছোট থেকে বড় সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একমুঠ বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা জানাচ্ছেন, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দূর করে স্মৃতিশক্তি আরও প্রখর করে তোলে।