Search
Close this search box.

আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা

আনারস রসালো ও তৃপ্তিকর সুস্বাদু ফল।

ফলটিতে আঁশ ও ক্যালোরি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থাকে।

কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত বলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। আসুন জেনে নিই আনারসের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে।

ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে।

তাছাড়া  জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী।

এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসাবে আনারসের রস খেতে পারেন।

শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে।

এছাড়া এতে কোন ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমানে আনারস খেলে বা আনারসের জুস পান করলে তা শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

আনারস তাই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পথ্য হতে পারে।

দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল।

ফলে শিরা-ধমনির মধ্য দিয়ে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায়

আনারসে ক্যালসিয়াম  থাকায় তা দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে।

নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয় ফলে দাঁত ঠিক থাকে।

এছাড়া মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে আনারস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

চোখের যত্নে আনারস

আনারস চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ “ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন”রোগটি হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে।

আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন।

প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

ত্বকের যত্নে আনারস

আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আমাদের শক্তির যোগান দেয়।

এতে থাকা প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়।

এছাড়া দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।