রাইস ব্র্যান অয়েল হল এক ধরনের রান্নার তেল। এই তিনটির মধ্যে পলিস্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড নিখুঁত ভারসাম্য আছে।
যা এটিকে একটি সুস্থ হার্টের জন্য আদর্শ করে তোলে।
এই তেলটি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
এই তেলের মধ্যে আছে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের নরম, কোমল এবং বলিরেখা মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
আজ আমরা এই রাইস ব্র্যান অয়েল এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেব।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
রাইস ব্র্যান অয়েলের মধ্যে আছে ভিটামিন ই এর বিভিন্ন প্রকারের পাশাপাশি অরিজানালার মতো যৌগগুলিতে উপস্থিতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি একটি সমৃদ্ধ উত্স।
রাইস ব্রান অয়েল এর মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে ভিটামিন ই।
যেটার মধ্যে আছে টোকোফেরল ও টোকোট্রিয়েনল। বলা হয়ে থাকে ভিটামিন ই হল একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যার মানে হল ফ্রী রেডিকেল শরীরের নিক্ষেপ করা হয়।
অতএব এই তেল খাওয়ার ফলে, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে
স্কোয়ালেন হল এক ধরনের রাইস ব্রান অয়েল উপস্থিত একটি যৌগ।
এটি ত্বকের মধ্যমে সহজে শোষিত হয় ও ত্বককে নরম, কোমল এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
চালের তুষের তেল প্রযুক্তিগত ভাবে ক্যালরিতে বেশি।
তবে রাইস ব্র্যান অয়েলে চর্বি তেলের প্রায় ২০% শোষণ করতে পারে।
যখন কম তেল শোষিত হবে, তখন খাবারটি তার আসল স্বাদও ধরে রাখে ও আপনি রাইস ব্র্যান তেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে পারবেন।
রাইস ব্রান্ড ওয়েলের মধ্যে অন্যান্য উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় অনেক কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে।
তাই আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহ লে রাইস ব্রান অয়েল দিয়ে রান্না করে খান।
সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
চালের তুষ আমাদেরকে ক্যালসিয়াম শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
তাই এটি নির্দিষ্ট ধরনের কিডনিতে পাথর গঠনের বাঁধা দেয়।
আমাদের হার্ট কে সুস্থ রাখে
World Health Organization এর নির্দেশ অনুসারে রাইস ব্র্যান অয়েলের মধ্যে অন্যান্য উদ্ভিজ্জ তেলের তুলনায় পলিআনস্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সংমিশ্রণ আছে।
ফ্যাটি অ্যাসিড এর ভারসাম্য মানে হলো আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা এটির সাথে আবদ্ধ হয়ে কমে যেতে পারে।
ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, স্টোকের মতো সমস্যাকে কমাতে সাহায্য করে।