কালিজিরাকে বলা হয় ‘সকল রোগের মহৌষধ’।
রান্নাঘরের দরকারি মসলা ও ফোড়নের অন্যতম উপাদান এটি।
সেইসঙ্গে কালিজিরার রয়েছে অসাধারণ ঔষধি ক্ষমতা।
পুষ্টিবিদ ও খাদ্যবিজ্ঞানীদের মতে, শুধু রান্নায় স্বাদ যোগ করাই কালিজিরার একমাত্র কাজ নয়।
বরং প্রতিদিনের একটুখানি কালিজিরা শরীরকে নানা অসুখের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে।
আসুন জেনে নিই কালিজিরার কিছু গুণের কথা।
সর্দি-কাশি রুখতে কালিজিরা দিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসা নতুন কিছু নয়
একটি পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা জড়িয়ে তা নাকের কাছে নিয়ে বড় করে শ্বাস টানুন কিছুক্ষণ ধরে।
এর ঝাঁজ বুকে জমে থাকা কফ টেনে বের করতে সাহায্য করে।
নাক বন্ধের সমস্যায়ও ঘরোয়া এই উপায়ের জুড়ি মেলা ভার।
কালিজিরায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে ফসফরাস।
তাই জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালিজিরাকে অবহেলা করলে চলবে না।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে সপ্তাহে একদিন কালিজিরার ভর্তা রাখুন ডায়েটে
কালিজিরার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে এই পথ্য বিশেষ কার্যকর।
পেটের সমস্যায়ও কাজে আসে এই মসলা। কালিজিরা ভেজে গুঁড়া করে নিন।
এবার আধা-কাপ ঠাণ্ডা করা দুধে এই কালিজিরা এক চিমটে মিশিয়ে খালি পেটে প্রতিদিন খান।
পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধান করে
হঠাৎ মুশকিলে ফেললে সব সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার অবস্থা থাকে না।
অনেক সময় হাতের কাছে দরকারি ওষুধও থাকে না।
কালিজিরা কাপড়ে জড়িয়ে রাখুন। এবার নাকের কাছে নিয়ে এর গন্ধ শুঁকুন।
শ্বাসকষ্টের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে এই ঘরোয়া উপায়।
শুধু কালিজিরাই নয়, এর তেলও শারীরিক নানা সমস্যা সমাধানে কাজে আসে
দীর্ঘমেয়াদি মাথার যন্ত্রণা বা মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কালিজিরা তেল কপালে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
চুল পড়া রুখতেও কালিজিরার তেল উপকারী
এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ কালিজিরার তেল মিশিয়ে গরম করে নিন।
মাথায় ত্বকে এই তেল কুসুম গরম অবস্থায় মালিশ করুন।
এক সপ্তাহ টানা এমন করলে চুল পড়ার সমস্যা মিটবে অনেকটাই।
স্থূলতা রুখতে গ্রিন টির সঙ্গে মিশিয়ে নিন কালিজিরার গুঁড়া
মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের মেদ ঝরাতে বিশেষ কাজে আসে এই ঘরোয়া কৌশল।
বৃষ্টি ভেজার ফলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি
ঠান্ডায় বুকে চাপ লাগলে কালিজিরা তেল গরম করে বুকে ও পিঠে মালিশ করে চাদর গায়ে থাকুন কিছুক্ষণ।
বার কয়েক করলেই কষ্ট কমবে।
কাশির প্রকোপ থেকেও রক্ষা পাবেন অনেকটাই।
দীর্ঘদিনের পুরোনো ব্যথা বা বাতের ব্যথায় কালিজিরার তেল মালিশ করলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
কালিজিরা ব্যথা সারানোর অন্যতম দাওয়াই
কালিজিরা ফসফেট, ফসফরাস ও লৌহের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় রক্তস্বল্পতার রোগীরাও এ থেকে উপকার পেয়ে থাকেন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিন থাকায় তা অ্যান্টিক্যানসার হিসেবেও খাদ্যমহলে জনপ্রিয়।