পাকা চুল ঢাকতে ঘরেই আছে সম্পূর্ণ নিরাপদ সমাধান। জানেন সেগুলো কি?
চিরাচরিত হেয়ার অয়েলের সাথে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের কম্বিনেশন।
চুল কালো করতে ব্যবহার করুন এই ৫টি তেল।
আর পেয়ে যান ঝলমলে কালো চুল তাও আবার বাড়িতে বসেই।
অ্যালোভেরার তেল
কি অবাক হচ্ছেন? জ্বি হ্যাঁ,অ্যালোভেরা দিয়ে বানাতে পারেন চমৎকার এক হেয়ার অয়েল, যা চুলে ঝলমলে ভাব এনে দিবে।
এটি চুল পড়া বন্ধ করে, খুশকির সমস্যা কমায়, রুক্ষ-শুষ্ক চুল কোমল করে, স্ক্যাল্পের চুলকানি ভাব কমায়,
চুলের ঘনত্ব বাড়ায়, চুল ও স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে,
এবং চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
অলিভ অয়েল
চুলের যত্নে অলিভ অয়েলের উপকারিতা নতুন করে বলার কিছু নেই।
ত্বকের সাথে সাথে এটি চুলেরও উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
চুলের স্বাভাবিক রং তো ফিরে আসেই, তার সাথে চুল হয় দারুণ শাইনি।
অলিভ অয়েলে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান আছে।
নিয়মিত ব্যবহারে স্ক্যাল্পের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, তাতে চুল পড়াও বন্ধ হয়।
এই তেলের সাথে অন্যান্য তেল ও উপাদান মিশিয়ে এক ধরণের বিশেষ তেল বানাতে পারেন।
যা ব্যবহারে অল্পদিনেই ঢেকে যাবে পাকা চুল।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল ও আমলকির সম্মিলিত অ্যাকশনে চুল কালো হওয়ার পাশাপাশি চুল পড়াও বন্ধ হয়৷
আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷
এটি চুলের কোলাজেন এবং ফলিকল উন্নত করতে সাহায্য করে৷
চুলের যত্নে আমলকি বিভিন্নভাবে তেলের সাথে ব্যবহার করতে পারেন।
তেল গরম করে আমলা পাউডার মিশিয়ে নিন৷ মিশ্রণটি ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় মাসাজ করে ১ ঘন্টা রেখে দিন।
তারপরে সালফেটমুক্ত মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন।
দ্রুত ঘন কালো চুল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে ৩ দিন এভাবে তেল মাসাজ করে শ্যাম্পু করবেন।
সরিষার তেল
সরিষার তেলের নিয়মিত মাসাজে মেলানিন বেড়ে যায়, যা চুলকে ঘন কালো দেখায়।
এছাড়া চুলের জন্য প্রয়োজনীয় জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম সব সরিষার তেলে পাওয়া যায়।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্যাটি এসিড চুল পড়া কমায় এবং চুলের উন্নত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
এর সাথে মেথি, ক্যাস্টর অয়েল, হেনা ইত্যাদি মিশিয়ে ব্যবহার করলে মাত্র এক মাসেই পাবেন ঝলমলে কালো চুল।
তিলের তেল
তিলের তেলে আছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, থিয়ামিন, ফলিক এসিড, জিঙ্ক, প্রোটিনসহ আরো নানা উপকারী উপাদান।
এগুলো চুল ভাঙা কমায়, চুল ঝরা কমায়, ধূসর চুল কালো করে।
এর সাথে যদি মিশে আমন্ড অয়েল, তাহলে তো কথাই নেই।
আমন্ড অয়েল দূষণজনিত কারণে চুলের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা পুনরুদ্ধার করে।