আজকাল উচ্চ রক্তচাপ যেন ঘরে ঘরে একটি সাধারন সমস্যা। প্রচুর মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত।
এবং একবার এই সমস্যা হলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন।
ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে এই সমস্যা।
কিন্তু কেন এই সমস্যা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে? এর কারণ আর কিছুই না।
এর জন্য দায়ি আমাদের বর্তমান জীবনযাত্রা।
বর্তমানের অনিয়মিত জীবন শরীরে আনছে এই ধরনের সমস্যা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আরও বাড়ছে
বয়স ১৮ পেরলেই এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে কেউ কেউ।
এখন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে প্রায় ১০ জনের মধ্যে এক জন এই সমস্যায় আক্রান্ত হন।
আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।
আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
কিন্তু কেন আস্তে আস্তে প্রেশার বাড়তে থাকে? এর অনেক কারণই থাকতে পারে।
যেমন অনেকেই খাবারে বেশি লবণ খান।
বা কাঁচা লবণ যেটি প্রেশার বাড়িয়ে দেয়।
ফাস্ট ফুড অত্যধিক খাওয়া হয়
আবার ওজন বাড়ার সঙ্গে প্রেশার বাড়ার একটি সম্পর্ক আছে।
বর্তমানে আমরা চটজলদি ফাস্ট ফুড অত্যধিক খাই।
কখনও সময়ের অভাবে আবার কখনও বা ভাল লাগার জন্য।
এর জন্য ওজন বেড়ে যায় অতিরিক্ত।
আবার অনেক সময় আমরা যখন তখন যা খুশি খাই।
কোন সময় মেনে চলি না তার ফলেও ওজন বেড়ে যায়।
আর যত ওজন বাড়তে থাকে ততই প্রেশার বাড়তে থাকে।
জীবনে অত্যধিক অকারন টেনশন
এখন মেশিনের যুগ। এখন নানা কাজের জন্য নানারকম মেশিন।
তার ফলে আমরা শারীরিক পরিশ্রম করতে প্রায় ভুলেই গেছি।
আর তার ফলেই বেড়ে যাচ্ছে প্রেশার।
এছাড়াও এখন আমাদের জীবনে অত্যধিক অকারন টেনশন চিন্তা বেড়ে গেছে।
এবং এই চিন্তার প্রভাব মারাত্মক হচ্ছে কখনও কখনও।
এই মানসিক উত্তেজনা বেড়ে যাবার ফলে, অ্যাড্রিনালিন গ্রন্থি থেকে হরমনের ক্ষরণ বেড়ে যায়।
তার ফলেই রক্তচাপ বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত স্ট্রেস
এছাড়াও কিছু মানসিক পরিবর্তন যেমন ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন, কিছু ভালো না লাগা, খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
ভয় ভীতি তৈরি হাওয়া মানসিক এই সমস্ত সমস্যা জন্যও রক্তচাপ বেড়ে যায়।
আর বর্তমান জীবনে স্ট্রেস রোজকার একটি সমস্যা। অতিরিক্ত স্ট্রেস বাড়লে নার্ভের ওপর চাপ পরে।
আর এখন আমরা একটু কিছু সমস্যাতেই খুব বেশি স্ট্রেসে ভুগতে থাকি।
এর ফলেই রক্তচাপ মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়।
তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্ট্রেস মুক্ত থাকতে বলা হয়।
তাই স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত দরকারি। ইচ্ছে করলেই স্ট্রেস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়।
এই সময় মন চাপে থাকলেও, বুদ্ধি কিন্তু হারিয়ে যায় না।
তাই বুদ্ধির সঙ্গে স্ট্রেসকে মোকাবিলা করা সম্ভব।
ফেসবুক, ওয়্যাটসঅ্যাপের যুগে নিজের জন্য সময়ের অভাব
বর্তমানে ফেসবুক, ওয়্যাটসঅ্যাপের যুগে নিজের জন্য সময় বের করা খুবই মুশকিল।
আর এর জন্যই খুব বেশি জাঙ্ক ফুড, প্যাকেট ফুড, টিন ফুড, রেডি টু ইট ফুড এগুলির প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।
এগুলিতে প্রিজারভেটিভের জন্য মেশানো থাকে লবণ।
যা হাই ব্লাড প্রেশারের একটি অন্যতম কারণ।
আর আমরা পানিও ঠিক মত খাই না অনেক সময়।
পানি খেলে কিন্তু শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।
কিন্তু পানি কম খাবার ফলে এই সমস্ত ক্ষতিকর উপাদানগুলি থেকে প্রেশার বেড়ে যায়।
আবার এগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে।
তাই রক্তচাপ ঠিক রাখার জন্য বেশি করে শাকসবজি, পানি এবং অ্যান্টিঅক্সিডন্ট, পটাশিয়াম, আর ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া দরকার।
যা ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আর কাঁচা লবণ একদমই চলবে না।
তাহলে এবার বুঝতে পারলেন তো আমরাই কিন্তু আমাদের শরীরের নানান সমস্যার জন্য দায়ী।
তাই ভালো থাকার জন্য আমাদের রোজকার জীবনের একটু পরিবর্তন আনা দরকার।
আমাদের যাবতীয় সমস্যা সঠিক লাইফস্টাইলের অভাবেই হয়।
তাই সঠিক লাইফস্টাইল বেছে নিলে কিন্তু এই ধরনের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।