ব্লু মুন বা ভার্জিন ব্লু- বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের একটা বেশ পপুলার পানীয়।
পাশচাত্যের অনুসরণে বানানো ব্লু মুনের আবির্ভাব এদেশে বেশিদিন না হলেও, এর অতুলনীয় স্বাদে , রঙে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য ইতিমধ্যে দখল করে ফেলেছে অধিকাংশ রেস্টুরেন্টের ব্রেভারেজ সেকশন।
যেহেতু পপুলার, কম বেশি সবাই-ই অর্ডার করে এই ড্রিংক্স, এর দামও আকাশ-চুম্বী।
সাধারণ সাইজের এক গ্লাস ব্লু মুনের দাম গড়ে ২১০ টাকা থেকে শুরু হয়।
অথচ ঘরেতেই, খুব সহজে এই ড্রিংক্স বানানো যায়।
পপুলার এই ড্রিংক্স ঘরে বানিয়ে মেহমানদের চমকে দিতে পারেন।
কিংবা প্রচন্ড গরমে, অফিস ফেরত পরিবারের সদস্যদের এই ড্রিংক্স দিতে পারে ইন্সট্যান্ট বুস্ট আপ এক অনুভূতি।
আর এই ব্লু মুন, কিংবা ভার্জিন ব্লুকে ঘরে বানানোর রেসিপি নিয়ে গ্ল্যামোজেনের আজকের আয়োজন।
উপকরণ:
১. লেবু ৫-৬ টা
২. পুদিনা পাতা ২ মুঠি
৩. বিট লবণ
৪. চিনি
৫. স্প্রাইট বা সেভেন আপ
৬. বরফ কুচি
৭. ভ্যানিলা এসেন্স
৮. ফুড কালার ব্লু
প্রস্তুত-প্রণালী:
১. প্রথমে লেবুগুলোকে আড়াআড়ি চাক চাক করে কেটে, মাঝখানে ২ ভাগ করে ৪ পিস করে নিতে হবে।
২. পুদিনাপাতা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
কালো বা মরে যাওয়া অংশগুলো ভালো করে বেছে ফেলে দিতে হবে।
এরপর ছোট ছোট কুচি করে কাটতে হবে।
৩. চিনি ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি পাউডারের মতো গুড়া করতে হবে।
৪. একটা হামানদিস্তায় লেবুর টুকরা এবং পুদিনা পাতা গুলো নিতে হবে।
৫. তাতে প্রতি গ্লাসের জন্য আধা চামচের সামান্য কম বিট লবণ এবং ১ চামচ চিনির গুড়া ঢালতে হবে।
৬. ভালো করে পিষতে হবে মিশ্রণটা।
৭. পানির ছাঁকুনিতে ভালো করে মিশ্রনটা ছেঁকে শুধুমাত্র রসটা নিতে হবে।
৮. একটা গ্লাসের চুমুকের অংশতা লেবুর রস দিয়ে ভিজিয়ে, একটা বিটলবণ ভরা পিরিচে উপর করে রাখতে হবে।
এতে করে, গ্লাসের চুমুক দেয়া অংশের বর্ডার বরাবর, লবণ মেখে যাবে।
৯. একটা গ্লাসে ২-৩ টেবিল চামচ ঐ মিশ্রণটি নিতে হবে।
১০. পরিমাণমতো বরফ কুচি নিতে হবে।
১১. এক ফোঁটারও কিছুটা কম নীল ফুড কালার নিতে হবে প্রতি গ্লাসের জন্য।
১২. ভ্যানিলা এসেন্স প্রতি গ্লাসের জন্য দুই ফোঁটা এড করতে হবে।
১৩. এরপর সেভেন আপ বা স্প্রাইট ঢেলে ভালো করে নাড়াতে হবে।
১৪. অতঃপর লেবুর চাক বা ন্য কিছু দিয়ে ডেকোরেশন করে পরিবেশন করুন ব্লু মুন বা ভার্জিন ব্লু।
সতর্কতাঃ
১. সব কুচি করে আলাদা রেখে দিতে পারেন ফ্রিজে।
তবে কিছুতেই এডভান্সে হামান দিস্তায় ছেঁচে রাখবেন না।
বেশিক্ষণ ছেঁচে রাখলে, লাবুর রস আর পুদিনা পাতা রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কালো বর্ণ ধারণ করতে পারে।
২. ছেঁচে একদম পেস্ট বানাবেন না।
এতে লেবুর তিতা বের হবে।
লেবুর রস আর লবণ-চিনির মিশ্রণে, আধা ছেঁচা ফ্লেভারেই এই ড্রিংক্সটা বেশি স্বাদযুক্ত হয়।
৩. ডায়বেটিক পেশেন্ট বা কিডনির রোগীদের ক্ষেত্রে স্প্রাইটের বদলে সোডা ওয়াটার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে সেক্ষেত্রে লেবুর রস আলাদা করে একটু বেশি দিতে হবে।
৪. বরফ কুচির পরিমাণের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
পরিমাণে খুব বেশি যেন না হয়।
তাইলে গলে, পানি পানি হয়ে যাবে।
আবার পরিমাণে কমও দেয়া যাবে না খুব।
তাহলে লবণ- চিনির ফ্লেভার খুব শক্ত করে টেস্ট বাডে হিট করবে, যা অনেকেই লাইক করেন না।
উপরে ডেকোরেশনে লেবুর চাক কেটে দিতে পারেন।
এছাড়া আস্ত ২-৩ পিস পুদিনা পাতা টপার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যস, এভাবেই পরিবারের সদস্যকে এবং বাইরের মেহমানদের এই ট্রেন্ডিডিংক্স ঘরে বানিয়েই চমকে দিতে পারেন।
গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে, ফ্রেশ পুদিনা আর এনার্জেটিক লেবুর রস সমৃদ্ধ এই ব্রেভারেজ হতে পারে আপনার দাওয়াতের অন্যতম মূল আকর্ষণ!
এরকম নানা রকম ফেমাস এবং দামী পানীয় ঘরোয়া পদ্ধতিতে সহজে বানানোর রেসিপি পেতে যোগ রাখুন গ্ল্যামোজেনের পর্দায়!