অনেকেই নিশ্চয়ই বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য রেডি?
বিয়েবাড়ি ভাড়া, কেটারারের সঙ্গে বসে মেনু ফাইনাল, নেমন্তন্নের লিস্ট তৈরি করা আর শপিংয়ের ফাঁকে নিজের ত্বকের যত্নটা নিচ্ছেন তো?
সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে না চললে কিন্তু ত্বকের ক্ষতি হয়ে যাবে অনেক!
বিশেষ করে বিয়ে আর বউভাতের দিন আপনি যে মেকআপ করবেন, তা পরে আপনার ত্বককে মারাত্মক শুষ্ক করে তুলতে পারে।
ত্বকের বয়স একধাক্কায় বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই!
তাই বিয়ের জন্য যত কাজের চাপই থাক, ত্বকের যত্নটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি হওয়া উচিত!
দেখে নিন, কীভাবে পরিচর্যা করবেন ত্বকের।
কী কী উপাদান হাতের কাছে থাকতেই হবে!
নিয়মিত মেনে চলুন এসব, বিয়ের দিনে আপনার ত্বকও আপনার মতোই খুশি আর উচ্ছল থাকবে!
ময়েশ্চারাইজার
ত্বক সুস্থ রাখতে যে জিনিসটির সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা, তার নাম ময়েশ্চারাইজার।
ত্বক পরিচর্যার তালিকা করতে বসলে সবার আগেই লিখতে হবে ময়েশ্চারাইজারের নাম।
সঠিক ময়েশ্চারাইজারটিও বেছে নেওয়া সমান জরুরি।
ত্বকের ধরনের সঙ্গে মানানসই ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।
এটি আপনার ত্বক আর্দ্র রাখবে, এনে দেবে বাড়তি দীপ্তি!
ফেস ওয়াশ
ত্বক আর্দ্র রাখা যতটা দরকার, ততটাই দরকার তা পরিষ্কার রাখা।
কোমল ফেসওয়াশ বেছে নিন। মুখ ধোওয়ার পর টোনার লাগালে রোমছিদ্রগুলো সংকুচিত হয়ে যাবে।
অনেক মেয়ে টোনার হিসেবে বরফ ব্যবহার করেন। তবে বরফ কখনও সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না।
পরিষ্কার রুমালে মুড়ে মুখে বুলিয়ে নিন।
ফেসিয়াল মাস্ক
মুখে বাড়তি জেল্লা আনতে ফেস মাস্ক খুবই জরুরি।
ত্বকের ধরন আর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বেছে নিন আপনার ফেস মাস্ক।
যদি সারাদিনে মাস্কের জন্য সময় দিতে না পারেন, তবে ঘুমের সময়টাও মাস্ক লাগিয়ে শুয়ে পড়তে পারেন।
সকালে উঠে তারুণ্যে ভরপুর ত্বক দেখে চমকে যাবেন নিজেই!
বডি ওয়াশ
সাবান কিন্তু ত্বক বেশি রুক্ষ করে দেয়।
ত্বকে বাড়তি কোমলতা পেতে বিয়ের মরশুমটায় বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
বডিওয়াশে প্রচুর এসেনশিয়াল অয়েল আর ময়েশ্চারাইজার থাকে যা ত্বক আর্দ্র রাখে।
বাড়তি পাওনা হলো বডিওয়াশের মিষ্টি সুগন্ধ যা দিনভর ঘিরে থাকবে আপনাকে।
চাপমুক্ত থাকুন
বিয়ের আগে টেনশনে ভুগলে তার ছাপ আপনার ত্বকে পড়তে বাধ্য।
তাই সামনে বিয়ে থাক বা না থাক, চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
ঘুমোনোর সময় বালিশে দু’ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল ছিটিয়ে দিন।
অথবা একটা আরামদায়ক ফুট মাসাজ নিন।
তাতে পায়ের যত্নও নেওয়া হবে, ত্বকও হয়ে উঠবে ঝলমলে।