কোলেস্টেরল আমাদের দেহের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি স্নায়ুতন্ত্র, হরমোন উৎপাদন, চর্বি ও নতুন কোষ গঠনে অংশগ্রহণ করে থাকে।
তবে সমস্যা তখনই তীব্র হয় যখন প্রয়োজনের তুলনায় এটা রক্তে অতিরিক্ত হয়ে যায়।
কোলেস্টেরল বেশি থাকার জন্য অ্যাথেরোস্কোলোরোসিস রোগ হয়। এতে রক্তনালির দেয়াল শক্ত ও সরু হয়ে যায়।
সময় মতো চিকিৎসা না নিলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। খাবার এর প্রতি একটু নিয়ন্ত্রণ থাকলেই রক্তের কোলেস্টেরল কমানো যায়।
আসুন জেনে নেই রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর কিছু খাবার
রসুন ভালো কাজ করে
রসুন অনেক রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতো। এটি কোলেস্টেরল হ্রাস করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
তবে এর জন্য আপনাকে সকালে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি কাঁচা খেতে হবে।
আসলে, এতে অ্যালিসনের উপস্থিত রয়েছে, যা মোট এলডিএল কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করতে সক্ষম।
গ্রিন-টি
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন-টিতে থাকা ‘ক্যাটাচিন’ শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন-টি খেলে শরীরে কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়।
হলুদ
হলুদ খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করতেও কাজ করে। হলুদের ভিতরে থাকা উপাদানগুলো রক্তের ধমনী থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করতে কাজ করে।
এর জন্য আপনি হলুদের দুধ পান করতে পারেন।
অথবা আপনি সকালে গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া খেতে পারেন।
আমলকি
টক আর তেতো স্বাদে ভরা আমলকি গুণে-মানে অতুলনীয়।
ফলটি শুধু ভিটামিন আর খনিজ উপাদানেই ভরপুর নয়, বিভিন্ন রোগব্যাধি দূর করতেও অসাধারণ গুণ রয়েছে।
আমলার উপকারিতা কেবল চুলেই নয় হৃদয়কেও দেখা যায়।
আমলার ভিতরে আমলা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে।
আপনি যদি চান কাঁচা খান, বা এক চামচ গুঁড়ো হালকা গরম জলের সঙ্গে পান করুন।
এটি আপনার হার্টের সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
মাছ
মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল হ্রাস কের।
এর মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটি রক্ত থেকে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমিয়ে ফেলে।
সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার মাছ খাওয়া উচিত।