Search
Close this search box.

কম্বিনেশন স্কিন কেয়ার রুটিন

ত্বকের যত্ন নিতে আজকাল সকলেই সচেতন।

তবে অনেকেই এমন এক ধরণের ত্বকের অধিকারী, যাঁরা বুঝতে পারেন না যে তাঁদের ত্বকে কী অ্যাপ্লাই করলে ভালো হবে বা কীভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।

এই বিশেষ ধরণের ত্বককে বলা হয় কম্বিনেশন স্কিন।

এই ধরণের স্কিন মূলত দুই ধরণের ত্বকের কম্বিনেশন অর্থাৎ সংমিশ্রণের ফলে তৈরি হয়। তা হল তৈলাক্ত ত্বক এবং শুষ্ক ত্বক।

এ ধরণের ত্বক যাদের টি-জোনটি অর্থাৎ নাক, থুতনি এবং কপালের অংশটি তৈলাক্ত হয় এবং কিন্তু গাল এবং চোয়ালের অংশটি শুষ্ক হয়।

আপনার যদি কম্বিনেশন স্কিন হয়, তার অর্থ হল আপনাকে একই সময় ত্বকের একাধিক সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

তাই এমন একটি স্কিন কেয়ার রুটিন প্রয়োজন যেখানে আপনাকে তৈলাক্ততা এবং শুষ্কতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

কম্বিনেশন স্কিনের জন্য সাপ্তাহিক স্কিন কেয়ার রুটিন কী হতে পারে?

ভালো ত্বক পেতে কোনও নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করলে হয় না।

সকলের ত্বকের ধরণ আলাদা, সকলের পছন্দও আলাদা, তাই ট্রায়াল এবং এরর পদ্ধতির মাধ্যমেই আপনাদের এগোতে হবে।

এখানে কম্বিনেশন স্কিনের মালকিনদের জন্য একটি সাপ্তাহিক রুটিনের কথা বলা হল।

স্টেপ ১-ধীরে ধীরে আপনার মুখ পরিষ্কার করুন

যেকোনও স্কিন কেয়ার রেজিমেন শুরু করার আগে মুখটাকে ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়াটা খুব জরুরী।

সারা রাতে আপনার ত্বক অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে। সেজন্য সকালে উঠেই একটা ভালো ক্লিনজারের সাহায্যে ত্বক পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।

এতে করে আপনার ত্বক পরবর্তী স্টেপের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।

যদি মুখে মেকআপ বা সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা থাকে, তাহলে সন্ধেবেলাতে আপনারা একটা অয়েল ক্লিনজার দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

তারপর কোনও ফেমিং ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারেন।কম্বিনেশন স্কিনে কিন্তি ক্রিম ক্লিনজার বা ক্লিনজিং লোশন দারুণ কাজ করে।

স্টেপ ২-ধীরে ধীরে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করুন

ত্বকের পোরস আনক্লগ করতে বা মৃত কোষগুলিকে তুলে ফেলতে এক্সফোলিয়েট করাটা খুবই প্রয়োজন।

এক্ষেত্রে কোনও কঠোর কিছু অ্যাপ্লাই করলে তাতে তো ভালো ফল পাবেনই না, বরং ত্বকে জ্বালা অনুভব হতে পারে।

নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করলে আপনার কোষগুলি পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে এবং আপনার ত্বককে মসৃণ করতে এমনকি আপনার ত্বকের আসল টোনটিকে বাইরে বের করে আনতে সহায়তা করে।

স্কিন সকালে এক্সফোলিয়েট করা ভাল এবং সপ্তাহে মাত্র ১-৩ বার করুন।

স্টেপ ৩-কোনও একটি এসেন্স বা সিরাম অ্যাপ্লাই

আপনার ত্বককে একটা অতিরিক্ত পুষ্টি এবং হাইড্রেশন দিতে এসেন্স বা সিরাম অ্যাপ্লাই করুন।

পরিবেশের দূষণ এবং টক্সিনের বিরুদ্ধে কাজ করে এগুলি। সিরাম বিশেষত পিগমেন্টেশন, ফাইন লাইনসের বিরুদ্ধে কাজ করে।

রেটিনল সিরাম কম্বিনেশন স্কিনের পক্ষে আদর্শ, কারণ এটি আপনার ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত বা অতিরিক্ত শুষ্ক কোনওটাই করে না।

এটি একটি মধ্যস্থতা বজায় রাখে। শুধু তাই নয় এসেন্স বা সিরাম অ্যাপ্লাই করলে তা আপনার পরবর্তী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অ্যাপ্লাই করার জন্য আপনার ত্বককে অনেকটা তৈরি করে দেয়।

স্টেপ ৪-একটি আই ক্রিম অ্যাপ্লাই করুন

চোখের আশেপাশের ত্বক কিন্তু খুব নরম হয় এবং খুব সহজে তা নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

বয়সের ছাপ এবং ফাইন লাইনস দূর করতে, চোখের চারিপাশের ত্বকে পুষ্টি যোগাতে বিশেষভাবে কাজ করে আই ক্রিম। এটি ডার্ক সার্কেল নিরাময়েও বিশেষভাবে জরুরী।

আই ক্রিম অ্যাপ্লাই করার সময় অতিরিক্ত ঘষবেন না, একেবারে হালকা হাতে লাগাবেন, তবে তারুণ্য সুন্দর চেহারা পেতে এই স্টেপটা এড়িয়ে যাবেন না।

স্টেপ ৫-একটি ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করুন

কম্বিনেশন স্কিনে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করাটা একটু কঠিন। কারণ টি-জোন যেহেতু অয়েলি, তাই সেখানে ভারি কিছু অ্যাপ্লাই করতে নিশ্চই চাইবেন না।

এরজন্য দিনের বেলাটা চেষ্টা করুন লাইটওয়েট কিছু অ্যাপ্লাই করতে এবং রাতেরবেলা কোনও এমোলিয়েন্ট সিরাম অথবা জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

এতে করে আপনার ত্বকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ হবে।

স্টেপ ৬-অবশ্যই SPF ব্যবহার করুন

ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা মানেই ত্বকের বয়স ধরে রাখা। আর কেবল কম্বিনেশন স্কিন কেন যেকোনও ধরণের ত্বকেরই এই বিষয়টা প্রয়োজন।

তবে এই স্কিনের মালকিনরা এমন ফর্মুলা বেছে নিন যা লাইটওয়েট এবং ম্যাট ফিনিশ দেবে।

আপনি যদি ত্বকে একটা গোল্ডেন গ্লো চান ও একই সঙ্গে ত্বককে রক্ষা করতে চান, তাহলে এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি এসপিএফ-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগান।

মনে রাখবেন কম্বিনেশন ত্বকে প্রথমদিকে একটু এক্সপেরিমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। আপনাকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে অ্যাপ্লাই করতে হতে পারে।

তাই ধৈর্য্য ধরুন, কাঙ্খিত ফল পাবেন।