সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে সময় হয় না ত্বকের যত্ন নেওয়ার।
তাছাড়া এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা সময় থাকতে ত্বকের খেয়াল রাখেন না।
ফলে সময়ের আগেই দেখা দেয় বলিরেখা, দাগ-ছোপের সমস্যা।
কিন্তু অনেকের ধারণা ত্বকের যত্ন নিতে গেলে অনেক কিছু করতে হবে।
নিয়ম করে ত্বকে নানা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু সেটা নয়।
এক্ষেত্রে সামান্য স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললেই ত্বককে ভাল রাখা যায়।
সেগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক…
রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে মুখ ধোওয়া
রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করে রোজকার ধুলোময়লা ধুয়ে ফেলুন।
কারণ ত্বকের উপরিতলে ধুলো, বালি ময়লা জমে, ঘাম হয়।
তাছাড়া তেল নির্গত হয় এবং সেটাও জমতে থাকে।
পাশাপাশি এখান থেকে ত্বকে ছত্রাক-ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।
ফলে এভাবে যদি এগুলো দিনের পর দিন জমতে থাকে তাহলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক ত্বকের সমস্যা।
মুখ পরিষ্কার থাকলে তাতে ত্বক অক্সিজেন পায় এবং ত্বক ভাল থাকে।
ডাবল ক্লিনজিং
রোজ যদি নিয়ম করে ডাবল ক্লিনজিং করা হয়, তাহলে ত্বক আরও ভাল থাকে।
ব্রণ বা অন্য কোনও রকম সমস্যা আসে না।
অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা মেকআপ করেন নিয়মিত তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ডাবল ক্লিনজিং খুবই জরুরি।
আর এই অভ্যাস না থাকলে ত্বকের একাধিক ক্ষতি হয়।
সেই সঙ্গে মুখ ভাল করে ধোওয়া হলে ঘুমও ভাল হয়।
সুষম খাবার খান
রোজ সুষম আহার জরুরি। এমন কিছু খাবার খান যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
শাকসবজি, ফল, ডাবের জল, ফলের রস , ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এসব বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
এতে ত্বকের উপর কোনও কু-প্রভাব পড়বে না।
সেই সঙ্গে ত্বক সুরক্ষিত থাকবে। এমনকী এই রুটিন মেনে চললে সহজে মুখে বয়সের ছাপ পড়বে না।
ফেসিয়াল মাসাজ
নিয়ম করে ত্বকের মাসাজ করা জরুরি। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
এছাড়াও ফেসিয়াল মাসাজ মানসিক চাপ কমায়, পাশাপাশি পেশি রিল্যাক্স রাখে।
যে কারণে প্রাকৃতিক ভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ত্বক টানটান থাকে।
আপনি চাইলে দিনের শেষে ৫ মিনিট রোলার জেড দিয়ে নিজেই মাসাজ করে নিতে পারেন।
এতে ত্বক ভাল থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
বাড়িতে থাকুন বা বাইরে বের হন, নিয়ম করে সানস্ক্রিনের ব্যবহার কিন্তু খুবই জরুরি।
এতে অযথা দাগ, ছোপ পড়ে না। তাছাড়া অতিরিক্ত রোদ, তাপ থেকে বাড়ে ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকিও।
কমপক্ষে SPF 20 সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ক্ষতিকর UVA-রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়।