চুল ফেটে একাকার? হারিয়ে গিয়েছে চুলের প্রাণ?
এবার সময় হয়েছে চোখ ফেরান প্রাকৃতিক উপাদানের দিকে, যা রয়েছে আপনার হাতের কাছেই!
সঠিক ব্যবহারে এ সব উপাদান আপনার চুলের ফাটা, শুকনোভাব তো কমবেই, উলটে চুল হয়ে উঠবে মজবুত আর জৌলুসে ভরপুর!
নারকেল তেল
ডগা ফাটা চুলের জেল্লা ফেরাতে ভরসা রাখুন চিরপরিচিত নারকেল তেলে।
হাতে খানিকটা তেল নিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে মাখিয়ে নিন।
ডগার দিকটায় বেশি করে মাখাবেন। এবার চুলটা শাওয়ার ক্যাপে জড়িয়ে এক ঘণ্টা রাখুন।
তারপর শ্যাম্পু করে বাড়তি তেল ধুয়ে ফেলুন।
চুল শুকোনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না, স্বাভাবিক হাওয়ায় শুকিয়ে নিন।
মধুর হেয়ার মাস্ক
চুলে আর্দ্রতা ফেরাতে আর তা ধরে রাখতে দারুণ কাজ দেয় মধু।
তাছাড়া মধুর হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলে চুলের গোড়াও মজবুত হয়।
চুলে যথাযথ আর্দ্রতা থাকলে ডগা ফাটার সমস্যাও কমে যায়।
মধুর প্যাক বানাতে চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী দু’ থেকে চার চাচামচ মধু নিন, তাতে তিন চাচামচ দুধ মেশান আর সম্ভব হলে এক চাচামচ নারকেলের দুধ দিন (না হলেও চলবে)।
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেখে নিন।
তবে আপনার স্ক্যাল্প যদি তেলতেলে হয়, গোড়ায় মাখার দরকার নেই।
মাখা হয়ে গেলে শাওয়ার ক্যাপে চুল জড়িয়ে ঘণ্টা দেড়েক রাখুন, তারপর শ্যাম্পু করে নিন।
পাকা পেঁপের হেয়ার মাস্ক
পাকা পেঁপের পুষ্টি চুলকে গভীর থেকে মজবুত করে তোলে।
আর পেঁপের সঙ্গে যদি আমন্ড অয়েল আর টক দইয়ের গুণ মেশানো যায়, তা হলে চুলের আর্দ্রতার পরিমাণও বহুগুণ বেড়ে যায় আর আপনি রক্ষা পান ডগাফাটা চুলের হাত থেকে!
পেঁপে চটকে নিন, তাতে মেশান টক দই আর আমন্ড অয়েল।
মিশ্রণটা ভালোভাবে চুলে মেখে নিন, তারপর আগের মতোই শাওয়ার ক্যাপ পরে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
মেথি
চুলের স্বাস্থ্যরক্ষায় মেথির ভূমিকার কথা অনেকেই জানেন।
চুলের ডগা ফাটা বন্ধ করে তা সুস্থ ঝলমলে রাখতেও মেথি খুবই কাজের।
খানিকটা মেথি গ্রাইন্ডারে শুকনো গুঁড়ো করে নিন। গুঁড়োর পরিমাণটা যেন দু’ চাচামচ মতো হয়।
তার সঙ্গে মেশান দু’ টেবিলচামচ টক দই।
এই মিশ্রণটা পুরো চুলে ভালোভাবে মেখে নিন।
তারপর আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
টক দই
চুল আর্দ্র রাখতে, ভেঙে ঝরে যাওয়া কমাতে টক দই চিরকালই জনপ্রিয়।
চার টেবিলচামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চাচামচ অলিভ অয়েল আর এক চাচামচ মধু মিশিয়ে তা চুলে খুব ভালো করে মেখে নিন।
এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেললেই হলো!
এই পদ্ধতিগুলোর সাহায্যে ফিরিয়ে আনুন চুলের হারিয়ে যাওয়া প্রাণ।