শীতকালের অনেকগুলো ভালো দিক আছে, তা সত্যি। ঘাম-টাম হয় না, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করা যায়।
যত ইচ্ছে সাজুন, সাজ মোটেই নষ্ট হবে না।
কিন্তু শীতকালের সঙ্গে যে বিচ্ছিরি জিনিসগুলো আসে, তার অন্যতম হচ্ছে খুশকি।
স্ক্যাল্প চুলকোয়, আর চুলকোলেই খুশকি উঠতে থাকে।
গাঢ় রঙের পোশাকের উপর তার ছোট ছোট টুকরো পড়ে দেখতেও খুব বাজে দেখায়।
কিন্তু আপনি যদি সময় থাকতে সতর্ক হন, তা হলে খুশকির আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব, তা কি জানেন?
তরল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান
শরীরের আর্দ্রতার মাত্রায় হেরফের হলে কিন্তু একেবারেই চলবে না।
শীতকালে সাধারণত তেষ্টা খুব একটা পায় না, তাই জলও কম খাওয়া হয়।
কিন্তু শরীরের আর্দ্রতায় টান পড়লেই বাড়বে খুশকির আক্রমণ।
তাই জল, স্যুপ, দইয়ের ঘোল, মিল্কশেক, ফল, শাকসবজি খান।
খুশকিও এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তা ঠেকাতে পারে ভিটামিন সি।
আমলকীর রস, কমলালেবু যোগ করুন রোজের খাদ্যতালিকায়। ভিটামিন বি আর জিঙ্কের ঘাটতি হলেও চলবে না।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নেওয়ার পর অ্যাপল সিডার ভিনেগারের মিশ্রণ দিয়ে ফাইনাল ওয়াশ করুন।
সমান পরিমাণ জল আর ভিনেগার মিশিয়ে নিলেই আপনার হেয়ার ওয়াশ তৈরি হয়ে যাবে।
তবে যাদের চুল রুক্ষ, তাদের চুল অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহারের ফলে রুক্ষতর হতে পারে, তা ঠেকাতে চাইলে আগে অবশ্যই তেল মাখবেন।
অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
নিয়মিত শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করলে তার স্বাস্থ্য খারাপ হয় না, বরং ভালোই থাকে।
যেটা দরকার, তা হচ্ছে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বাছাই।
তবে শ্যাম্পু করার পর প্রচুর জল দিয়ে চুল ধুতে হবে, স্ক্যাল্পে যেন শ্যাম্পুর ফেনা বা কন্ডিশনারের অবশিষ্টাংশ লেগে না থাকে, তা দেখবেন।
সপ্তাহে একদিন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
খুব বেশি কেমিক্যাল প্রোডাক্ট বা হিট স্টাইলিং ব্যবহার করবেন না
খুব বেশি জেল, হেয়ার স্প্রে বা হিট স্টাইলিং করলেও কিন্তু খুশকির আশঙ্কা বাড়ে।
স্টাইলিং প্রডাক্ট থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন, চুল এমনি হাওয়ায় শুকিয়ে নিলেই তার স্বাস্থ্য বেশিদিন ভালো থাকে।
পেশার কারণে যাদের বার বার হিট স্টাইলিং করতে হয়, তারা অবশ্যই হিট প্রোটেকশন সিরাম ব্যবহার করবেন।
অ্যালোভেরা ও দইয়ের প্যাক
দই আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়ে সপ্তাহে একদিন চুলে ব্যবহার করুন।
চুল থাকবে মসৃণ ও মোলায়েম, খুশকিও হবে না।