Search
Close this search box.

ডাবল ক্লিনজিং কী? কিভাবে ডাবল ক্লিনজিং করা হয়?

ডাবল ক্লিনজিং হলো স্কিনকে দু ধাপে ডিপলি ক্লিন করা৷

স্কিনের গভীর থেকে মেকআপ,ডার্ট,সানস্ক্রিন ইত্যাদি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ডাবল ক্লিনজিং।

ডাবল ক্লিনজিং এর মাধ্যমে স্কিনে জমে থাকা তেল, ময়লা তুলে ফেলা হয়।

যার কারণে স্কিন ক্লিন থাকে এবং ব্রণ হবার সম্ভাবনাও কমে যায়।

এছাড়া মেকআপ, সানস্ক্রিন যদি ঠিকমতো তোলা না হয় বা পরিষ্কার করা না হয় তাহলে তা স্কিনে জমে পোরস্ ক্লগ করে ফেলতে পারে।

প্রতিদিন ডাবল ক্লিনজিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ড্রাই,অয়েলি,কম্বিনেশন এবং নরমাল স্কিন অর্থাৎ যেকোন স্কিন টাইপের অধিকারীরা ডাবল ক্লিনজিং করতে পারবেন।

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে ফাংগাল একনে থাকলে ডাবল ক্লিনজিং করলে একনি বেড়ে যাবে নাকি! এর উওর হচ্ছে না।

কারণ অয়েল ক্লিনজিং এর পরে ওয়াটার বেইসড ফেইসওয়াশ ব্যবহার করা হয়।

যার কারণে মুখে অতিরিক্ত কোনো অয়েল থেকে যায় না এবং ফাংগাল একনে বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে না৷

ডাবল ক্লিনজিং এর জন্য সাধারণত দুই ধরণের ক্লিনজার দরকার৷

প্রথম ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মাইসেলার ওয়াটার, ক্লিনজিং অয়েল কিংবা ক্লিনজিং বাম।

দ্বিতীয় ক্লিনজার হিসেবে আপনার স্কিনটাইপ অনুযায়ী একটি মাইল্ড ফেইসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন৷

এতক্ষণ আমরা জানলাম ডাবল ক্লিনজিং কি এবং ডাবল ক্লিনজিংয়ের ক্ষেত্রে কী কী প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়।

যেভাবে ডাবল ক্লিনজিং করতে হয়

যদি আপনি মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রথমে একটি কটন প্যাডে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাইসেলার ওয়াটার নিয়ে নাক, কপাল মুখ এবং গাল ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।

মাইসেলার ওয়াটার এর পরিবর্তে ক্লিনজিং অয়েল বা ক্লিনজিং বাম ব্যবহার করতে চান তাহলে পরিমাণ মতো ক্লিনজিং অয়েল বা বাম নিয়ে ড্রাই স্কিনে কপাল, নাক, মুখ এবং থুতনিতে ভালোভাবে আঙুল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন।

ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে তা পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।

এরপর আপনার পছন্দের ফেইসওয়াশটি ব্যবহার করুন।

সবশেষে নরম তোয়ালে দিয়ে স্কিন ভালোভাবে মুছে নিন৷

এরপর আপনার পছন্দের সিরাম বা মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

তবে এক্ষেত্রে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে

দিনে একবারের বেশি ডাবল ক্লিনজিং করা উচিত না।

নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যাবে না।