জীবনে ভাইরাস আতঙ্ক থাকলেও সাবধানতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে।
তাও একটা কিন্তু থেকেই যায়। নানা কাজে বাইরে বেরলেও মুখ ঢাকা থাকে মাস্কে।
ফলে বাইরে গেলে খাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, কারও কারও ক্ষেত্রে তাই পানি পানও কমে গিয়েছে।
পর্যাপ্ত পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও জোরদার করে তোলে, যা নানা ভাইরাস ঠেকানোর কাজে সাহায্য করে।
কিন্তু পানি কি শুধু প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই সচল রাখে?
পর্যাপ্ত পানি পান করলে, ঝিমুনিভাবের বদলে শরীরে ফিরে আসে তরতাজাভাব
এ সময় তো অনেকেই সকাল-বিকেল ব্যায়াম করছেন, ব্যায়ামের আগে ও পরে পানি পানে ভরপুর এনার্জি পাওয়া যাবে।
শরীরে মাত্র ১/৩ শতাংশ পানি কমে গেলে মুড সুইংয়ের সমস্যা হয়, ক্লান্ত লাগে, প্রভাব পড়ে স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও, এমনই বলছে গবেষণা।
সারাদিন পানির বদলে কোলা, কফি খেয়ে কাটিয়ে দিলে সন্ধ্যা হলেই মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, তার মূলে রয়েছে পানি কম পান করা।
পর পর কয়েক গ্লাস পানি পান করলেই মিটে যায় সমস্যা।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হঠাৎ মিটে গেলে বুঝবেন এর মূলেও আছে পানি পানের অভ্যাস
নিয়মিত কম পানি পানে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। দিনে কয়েক গ্লাস পানি বেশি পান করলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
পরিবারে কারও কিডনি স্টোন আছে? আপনার মধ্যেও থাকতে পারে প্রবণতা।
বেশি করে পানি পান করলে হয়তো সে আশঙ্কা কমে যাবে।
মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান খানিকটা নিস্তার মিলতে পারে বলে, জানাচ্ছে গবেষণা।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত? কমে যাবে। কীভাবে?
আমরা অনেকেই জানি না, শরীরে পানি কমে গেলেও অনেক সময় খিদে পায়।
তখন খাবার না খেয়ে এক গ্লাস পানি পানে একটু অপেক্ষা করলে চলে যায় খিদের বোধ।
খাবার খাওয়ার আগে পানি পানে কম খাবারে পেট ভরে।
গবেষণা বলছে, নিয়মিত যাঁরা খাবার খাওয়ার আগে আধ লিটার পানি পান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ১২ সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত ৪৪ শতাংশ ওজন কমে।
ঠান্ডা পানি পান করলে আরও ভাল। বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্র বলছে, ঠান্ডা পানিকে শরীরের তাপমাত্রায় নিয়ে আসতেও ক্যালোরি খরচ হয় শরীরের।
কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি পানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে বলে যেন সারাক্ষণ পানি পান করবেন না।
সাধারণ অবস্থায় ৩ লিটার পানি পানই যথেষ্ট।
খুব বেশি ব্যায়াম ও ঘরের কাজে ঘেমে নেয়ে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৩.৫-৪ লিটার খেতে পারেন বড়জোর।
তার বেশি নয়। কারণ অতিরিক্ত পানি পানের আবার কিছু ক্ষতিকর দিকও আছে।
এছাড়া কোনও রোগের কারণে যদি পানি কম পানের নির্দেশ থাকে, যেমন কিডনির অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পানি পান বাড়াবেন না।