স্কিন অয়েলি বা নর্মাল হলে মেকআপ করলে তেমন কোন অসুবিধা হয় না।
কিন্তু স্কিন যদি হয়, ড্রাই তাহলে মেকআপ করলে স্কিন আরও শুকিয়ে যায়। মুখ আরও শুকনো নিষ্প্রাণ লাগে।
অনেকসময় মেকআপ ফেটে যায়। কিন্তু তাই বলে কি মেকআপ করবো না তা হয় নাকি? তো করতেই হবে।
কিন্তু কীভাবে? আপনার এই সমস্যার সমাধান করতেই আজ নিয়ে এসেছি ড্রাই স্কিনের মেকআপ স্টেপ।
কীভাবে মেকআপ করবেন যাতে মুখ শুকনোও লাগবে না, মেকআপ ফেটেও যাবে না আবার সুন্দর লাগবে।
কীভাবে করবেন স্টেপ বাই স্টেপ ড্রাই স্কিনের দেখে নিন এক নজরে।
মুখ পরিষ্কার করুন
পারফেক্ট মেকআপ করার প্রথম টিপস হল মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়া।
নোংরা মুখে যতই ভালো মেকআপ করুন না কেন, দেখতে যেমন ভালো লাগে না তেমনই স্কিনের আরও ক্ষতি হয়।
তাই সবসময় মেকআপ করার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়েই মুখ ধুয়ে নিন।
মুখে অতিরিক্ত ঘাম হলে, এরপর একটু বরফ ঘষে নিতে পারেন। এটা মুখে মেকআপ অনেকক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করুন
মুখ পরিষ্কার করার পরের ধাপ হল একে ময়েশ্চারাইজড করা। কারণ স্কিন ড্রাই তার ওপর মুখ পরিষ্কার করার পর স্কিন আরও ড্রাই লাগে।
এর ওপর মেকআপ লাগালে স্কিন তো আরও ড্রাই হয়ে যাবে, মেকআপ ভালো বসবে না ফেটে যাবে। তাই স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখা খুব দরকার।
গরমকালে মেকআপ করলে অবশ্যই শীতের ভারী ময়েশ্চারাইজারটা ব্যবহার করবেন না।
গরমের জন্য আলাদা হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
প্রাইমার
অনেকেই বলেন মেকআপ করলে প্রথমে বেশ লাগে। কিন্তু কয়েকঘণ্টা পরেই সেই লুকটা আর থাকে না। মেকআপ উঠে যায়।
আর এখানেই লাগে প্রাইমার। ঠিক যেমন দেওয়ালে রঙ করার আগে প্রাইমার লাগানো হয় রঙ ধরে রাখার জন্য।
মেকআপের আগেও প্রাইমার লাগালে অনেকক্ষণ মেকআপ সুন্দরভাবে থাকে।
এছাড়াও প্রাইমার মেকআপের ক্ষতিকর কেমিক্যাল গুলি থেকে স্কিনকে রক্ষা করে।
ফাউণ্ডেশন বা আরও যা যা লাগাবেন সেটাকে স্কিনের ভেতরে যেতে দেয় না।
তাই মেকআপ শুরুর আগে ভালো কোন প্রাইমার লাগিয়ে নিন। প্রাইমার না থাকলে অ্যালোভেরা জেলও লাগিয়ে নিতে পারেন।
এটাও প্রাইমারের কাজ করবে। স্কিনকে রক্ষা করবে এবং মেকআপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
স্কিনকে হাইড্রেটেড রাখবে। ফলে মুখ শুকিয়ে যাবে না।
ফাউণ্ডেশন
প্রাইমার লাগানোর পর স্কিন একদম রেডি মেকআপের জন্য।
এবার ফাউণ্ডেশন লাগাতে পারেন। যেকোনো ফাউণ্ডেশনের বদলে একটু ভালো মানের ব্যবহার করবেন।
যাতে স্কিন শুকিয়ে না যায়। আর যারা ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করতে চান না বা হালকা মেকআপের জন্য বিবি বা সিসি ক্রিমও লাগাতে পারেন।
এটাও মেকআপের কাজ করে। ড্রাই স্কিন যাদের তারা স্টিক ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করবেন না।
এতে স্কিন আরও শুকিয়ে মেকআপ বসবে না। তারা লিকুইড ফাউণ্ডেশন ব্যবহার করবেন।
হাতে অল্প লিকুইড ফাউণ্ডেশন নিয়ে সারা মুখে একটু একটু করে লাগিয়ে ভালোভাবে পুরো মুখে ব্লেণ্ড করে নিন।
কনসিলার
ফাউণ্ডেশন লাগানোর পরও যদি দেখেন চোখের নীচে কালি, মুখের ব্ল্যাক স্পট বোঝা যায় তাহলে লাগান কনসিলার।
মুখের যে অংশে দাগ আছে সেই অংশে একটু কনসিলার লাগিয়ে হালকা হাতে ব্লেণ্ড করে দিন।
এটা ফাউণ্ডেশন লাগানোর আগেও লাগিয়ে নিতে পারেন। মুখের সব দাগছোপ ঢেকে তারপর ফাউণ্ডেশন লাগাতে পারেন।
যতই হোক ভালোভাবে মেকআপ করার পরও যদি মুখের ব্ল্যাক স্পট বা চোখের কালি বোঝা যায় তাহলে পারফেক্ট লুক একদমই আসে না।
চোখ সাজান
এবার চোখ সাজানোর পালা। অনেকেই চোখের কালি ঢাকতে আলাদা আই প্রাইমারব্যবহার করেন।
যদি দরকার হয় করতে পারেন। তবে এটা করতেই হবে তেমন কোন মানে নেই।
প্রথমেই কাজল পেনসিল দিয়ে চোখ এঁকে নিন। তারপর আই লাইনার। এরপর আই ব্র পেনসিল দিয়ে অ্যাই ব্র সাজিয়ে নিন।
এরপর মাস্কারা, অ্যাইশাড লাগাতে চাইলে লাগিয়ে নিন।
ফিনিশিং টাচ
বেসিক মেকআপ শেষ। এবার হাইলাইটারও দিতে পারেন। যদি কোন পার্টিতে যান বা একটু ভারী মেকআপের দরকার হয় তাহলে দিতে পারেন।
নাহলে দরকার নেই। দিনের হালকা মেকআপে এটা তেমন দরকার লাগেনা।
হাইলাইটার ব্রাশ দিয়ে একটু একটু হাইলাইটার নিয়ে গালে, কপালে ব্লেণ্ড করে নিন। এটা পুরো মুখে দেবেন না।
এটা মুখের কিছু অংশ হাইলাইট করার জন্যই ব্যবহার করা হয়।