Search
Close this search box.

কেমন হতে পারে বর্ষায় ইদের সাজ

ইদ কাটে নানা ব্যস্ততার মাঝে।

সকালে উঠে নানা ধরণের আইটেম দিয়ে টেবিল সাজানো, মেহমানদের আপ্যায়ন করা, ঘর গুছানো, বাইরে ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।

ইদের দিন বলে যে আরাম বা ছুটি সেটা আমাদের নেই। কিন্তু এর মধ্যেই আমাদের নিজেদের রাখতে হবে পরিপাটি ও ফিটফাট।

যারা সাজগোছ করতে পছন্দ করেন তাদের নানা কাজ সামলে নিজেদের জন্য একটু সময় বের করে সাজিয়ে নিন। কিন্তু ইদের সময় পার্লার থাকে বন্ধ।

এসময় আপনার একমাত্র ভরসা আপনি স্বয়ং নিজে। যারা রেগুলার সাজতে অভ্যস্ত, তাদের জন্য কোনো সমস্যা নয়।

কিন্তু যারা সাজগোজে তেমন একটা পটু নয় ঝামেলা বাধে তাদেরই। 

তবে কিছু প্রোডাক্ট আপনার হাতের কাছে থাকলে খুব সহজেই সেজে নিতে পারবেন। 

কেমন হতে পারে ইদের সাজপোশাক? 

পোশাক পছন্দ করতে হবে এখনকার আবহাওয়া মাথায় রেখে।

এখন একটু বৃষ্টি আবার একটু গরম। তাই সুতি বা কটনের ড্রেস খুব মানানসই হবে।

এই গরমে পড়তেও আরাম আবার দেখতেও খুব ক্ল্যাসি লাগে। 

তাছাড়াও টিন-এজারদের জন্য জিন্স ও টপ্স হতে পারে ভালো চয়েজ। আবার জর্জেটের মাঝে এখন নতুন স্টাইলের সালওয়ার কামিজের বাহার চলছে।

ফ্লেয়ারড সালওয়ার ও প্লেইন কামিজ। সাথে র‍্যাফেলড ওড়নার খুব চল চলছে। এইভাবে ম্যাচিং করে বানিয়ে নেয়া যেতে পারে এক সেট সালওয়ার কামিজ। 

যারা শাড়ি পড়া প্রেফার করেন তারা শাড়ি পরে নিতে পারেন। পাতলা কটনের শাড়ি গুলো খুব সুন্দর পাড়যুক্ত, মানিয়ে যাবে ইদের সাজপোশাক।  

ছেলেদের জন্য সকালে প্লেইন পাঞ্জাবি হতে পারে খুব ভালো ইদ সাজ। বাহারী রঙের পাঞ্জাবি গুলো মানিয়ে যাবে যেকারো গায়ে। 

আর দুপুরে কুর্তিসহ প্যান্ট পড়ে নিলেই হলো। 

কেমন হতে পারে ইদ সাজ?

ইদ খুব স্পেশাল। তাই সাজও অন্যান্য দিনের তুলনায় স্পেশাল হওয়া উচিত। ড্রেস অনুযায়ী সাজ ভ্যারি করবে। তবে একটু ভাড়ী হওয়াটাই স্বাভাবিক।

ময়েশ্চারাইজার 

প্রথমে আমাদের ত্বক যাতে হাইড্রেটেড থাকে তাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। 

আপনার স্কিন ড্রাই হলে ময়েশ্চারাইজার মাস্ট। আর অয়েলি ত্বক হলেও আমাদের ত্বক হাইড্রেট রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার দরকার হয়। 

প্রাইমার

প্রাইমার ফাউন্ডেশন আর আমাদের ত্বকের মাঝে একটা ব্যারিয়ার তৈরি করে। হালকা করে প্রাইমার লাগিয়ে নিন একটি ব্রাশের মাধ্যমে। তারপর আপনার ত্বকে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার জন্য রেডি। 

ফাউন্ডেশন 

ফাউন্ডেশন ছাড়া এখন পুরো সাজ অপূর্ণ থাকে। এখন ফাউন্ডেশনগুলো অনেক উন্নত করা হয়েছে। 

বাজারে এখন লিকুইড ফাউন্ডেশন বের হয়েছে। এটা খুব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দিন দিন। আপনাকে এটা ফুল কাভারেজ ও ম্যাট ফিনিশিং দিবে। 

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এইগুলো খুবই লাইটওয়েট। ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করলে বোঝাই যাবে না যে আপনি পড়ে আছেন। 

আর অবশ্যই ফাউন্ডেশন কেনার আগে ওয়াটারপ্রুফ কিনা দেখে নিবেন। যেহেতু গরম ও চলছে আবার বৃষ্টি ও হচ্ছে। তাই ঘাম ও বৃষ্টি থেকে বাচঁতে ওয়াটারপ্রুফ ফাউন্ডেশন কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 

আর এখন এমন ফাউন্ডেশন রয়েছে যা থ্রি ইন ওয়ান। মানে কন্সিলার আর পাওডারের কাজ একসাথে করে। 

এইধরনের ফাউন্ডেশন বেছে নিলে ভালো কাভারেজ ও পাওয়া যাবে আর সময় ও বাঁচবে।

চোখের সাজ

চোখের সাজের জন্যেই চেহারায় লাবন্য ফিরে আসে। আর এখন বড় বড় ল্যাশ আর গ্লিটার আইশ্যাডো খুবই জনপ্রিয়।

লুজ গ্লিটার এখন খুব কম মূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে। সাথে জেল গ্লিটারও রয়েছে। আকর্ষণীয় এসব গ্লিটার ম্যাট আইশ্যাডোর উপরে অ্যাপ্লাই করলে খুব ভালো দেখতে লাগে। ব্রাশ অথবা হাতের সাহায্যেই ড্যাব ড্যাব করে লাগিয়ে ফেলা যায় খুব সহজেই। 

ইনার কর্ণার থেকে চোখের মাঝ বরাবর পর্যন্ত গ্লিটার দিলেই যথেষ্ট। তারপর থেকে যেকোনো গাঢ় শেড দিয়ে ফিনিশিং দিলেই ভালো লাগবে। 

তার উপর পরে নিন ফেইক ল্যাশ। দেখতে গর্জিয়াস লাগে যেকোনো সাজেই। 

ব্লাশ ও হাইলাইটার 

ব্লাশ দিয়ে গোলাপি আভা না ফুটালে আধো আধো লাগে সাজ। তাই বলে খুব বেশি আবার অ্যাপ্লাই করলে চলবে না। 

ন্যাচারাল রাখাটাই এখনকার ট্রেন্ড। পিঁচি ব্লাশ বা পিংকিশ ব্লাশ দিয়ে চিক বোনে হালকা করে টাচ আপ দিয়ে নিলেই রেডি। 

আর আপনার ফেইসের কাটিং অনুযায়ী চাইলে হালকা কন্টোরিং করে নিতে পারেন। গোলগাল চেহারা একটু কাটিং করে লম্বাটে দেখানই আর্ট। কিন্তু খুব বেশি এই কাজে পটু না হলে দরকার নেই। 

নাকের দিকে ফ্যান ব্রাশের সাহায্যে হালকা করে হাইলাইটার অ্যাপ্লাই করে নিতে পারেন। কপালে ও ব্লাশ দেয়ার উপরে অল্প সল্প লাগিয়ে নিন। তাতে ভালো দেখাবে খুব। দিনের বেলা হালকা করে লাগালেই যথেষ্ট।

লিপস্টিক 

এখনকার সময় গাঢ় রঙের লিপস্টিক ও নুড শ্যাডগুলো খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন বড় বড় ব্র‍্যান্ড যেমন ল্যাকমে, লরিয়েল, রেভলন, ম্যাক, ওয়েট অ্যান্ড ওয়াইল্ড এর নানা রঙের ও ধাচের লিপস্টিক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। 

এইগুলো আমাদের কাছে নানা ধরণের শ্যাড নিয়ে এসেছে। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াইল্ড এর বেরি রিকোগনাইজ এখন বলতে গেলে কম বেশি সবার পার্সেই থাকে। তাছাড়া এর অন্যান্য শেডগুলো ও মানিয়ে যায় খুব সহজেই। 

প্রথমে লিপ বাম অ্যাপ্লাই করুন ভালোভাবে। এরপর ড্রেস অনুযায়ী মানানসই একটি লিপস্টিক চুজ করে আপনার ঠোঁট রাঙিয়ে নিন। 

সেটিং স্প্রে

যেহেতু হুট হাট গরম আর হুট হাট বৃষ্টি হচ্ছে তাই সেটিং স্প্রে মাস্ট। এটা আপনার মেইকআপ লং লাস্টিং করবে অনেক্ষণ ধরে। 

যেকোনো ভালো সেটিং স্প্রে দিয়ে স্প্রে করে নিলেই আপনার ইদ লুক রেডি। 

হেয়ার স্টাইল

চুল কিভাবে রাখবেন আপনার সাজে তা নিয়ে কি চিন্তিত? 

এখন মেসি বান খুবই জনপ্রিয়। সামনের দিকে অল্প একটুখানি চুল বের করে দিন। পিছনের দিক থেকে সব চুল টেনে খোপা করে নিন এদিক সেদিক দিয়ে। 

ফিসটেইল ব্রেইডও করে ফেলতে পারেন। এই লুক যেকোনো ড্রেসের সাথেই মানিয়ে যায় খুব সহজেই। 

তাছাড়াও আপনি স্ট্রেইটেনিং বা ব্লো ড্রাই করে চুল খোলা রেখে দিতে পারেন। খুব সিম্পল কিন্তু এলিগ্যান্ট লাগবে দেখতে।