সকালে খালি পেটে পানি খাওয়ার উপকারিতা

পানির অপর নাম জীবন। টিকে থাকতে প্রত্যেক জীবের পানি গ্রহণ অত্যাবশ্যক।

যখন আমরা তৃষ্ণার্ত হই বা ঝালজাতীয় খাবার গ্রহণের পর তৎক্ষণাৎ এক গ্লাস পানি খুঁজি।

শরীরের বর্জ্য বের হতে, শরীরের তাপমাত্রা রক্ষায়, সংবেদনশীল টিস্যু সুরক্ষাসহ বহু কারণে পানি দরকার।

কিন্তু, আপনি কি জানেন, খালি পেটে পানি পান করলে কী স্বাস্থ্য উপকারিতা মেলে?

আসুন, এক ঝলকে দেখে নিই

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরের রিহাইড্রেশনের জন্য পানি দরকার।

কারণ, রাতে আপনি যখন ঘুমান, ছয় থেকে আট ঘণ্টা আপনার শরীর পানি পায় না।

তাই ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করলে শরীর রিহাইড্রেট হবে।

ওজন কমায়

পানি ও ওজন কমার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।

খালি পেটে পানি পান বিপাকক্রিয়ার উন্নতি সাধন করে। ফলে ওজন কমে।

দূষিত পদার্থ বের করে

সকালে খালি পেটে পানি খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।

বর্জ্য বের করতে কিডনির পানি দরকার হয়। পানি খেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বর্জ্য বের হয়ে যায়।

ক্যালোরি কমায়

নাশতা খাবার আগে পানি পান করলে ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।

পানি পানের কারণে পেট ভরা অনুভব হয়, এতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ হয় না।

সকালে নাশতা খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন।

মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ

ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করলে তা মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। যেমন—স্মরণশক্তি বাড়ে, নতুন কিছু শেখা বাড়ে।

হজমে সহায়তা

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানি খেলে তা হজমে সাহায্য করবে।

গরম পানি খাদ্য উপাদানকে ভাঙতে সাহায্য করে। এভাবে হজমপ্রক্রিয়ার উন্নতি হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খালি পেটে পানি খেলে শরীরের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বর্জ্য ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে পানি, যা থেকে সংক্রমণ ও অসুস্থতা হয়।

ভেতরের অঙ্গকে সুস্থ রাখে

খালি পেটে পানি পান করলে শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে।

শরীরের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে উন্নত করে এবং শরীরের তরলে ভারসাম্য আনে।

ত্বক উজ্জ্বল করে

সকালে খালি পেটে পানি পান করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

এতে ব্রণ কমে। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে আর্দ্রভাব এনে দেয়।

শক্তি জোগায়

সকালে পানি পান করলে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তির মাত্রা বাড়ে।

কারণ, সকালে যদি আপনার শরীর ডিহাইড্রেটেড থাকে, তাহলে আপনি ক্লান্তিবোধ করবেন।

সকালে ঘুম থেকে উঠে চার গ্লাস পানি পান করা দরকার।

কিন্তু প্রথম দিকে যদি কঠিন মনে হয়, তাহলে এক গ্লাস পানি দিয়ে শুরু করতে পারেন।

ধীরে ধীরে পানির পরিমাণ বাড়ান এবং নিজের পরিবর্তনটা লক্ষ্য করুন।