Search
Close this search box.

চশমা চোখে গ্ল্যামারাস মেকআপ

চোখে কড়া পাওয়ার? তাই চশমা ছাড়া উপায় নেই? লেন্সও ব্যবহার করতে চাচ্ছেন না?

কিন্তু চশমায় চোখ ঢাকা পড়লে কি আর মনের মতো সাজগোজ করা যায়? এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই জাগছে?

চোখে পাওয়ার থাক কিংবা না থাক ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ হিসাবেও কিন্তু চশমা পরাটা একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আজকের লেখায় রইলো এমন কিছু মেকআপ টিপস যারা চশমা পরেও সুন্দরভাবে নিজেদের মেলে ধরতে চান।

বেস মেকআপ

প্রথমেই স্কিনটিকে মেকআপের জন্য তৈরি করে নিতে হবে। আর তার জন্য ভালো করে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন।

এরপর প্রাইমার ব্যবহার করে নিন। যাতে তা ভালো ভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। প্রাইমার মেকআপ সুন্দর ভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক তেলতেলে হয়না।

এই কারনে চশমার রিম বারবার স্লিপ হয়ে নীচে নেমে আছে না।

ফাউন্ডেশন ও ব্লাশ

এরপরের স্টেপ হিসাবে ব্যবহার করে নিন আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই ফাউন্ডেশন। তারপর খুব ভালো করে বিউটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে মিশিয়ে নিন।

অয়েল বেস ফাউন্ডেশন লাগাবেন না। এটি স্কিন অয়লি করে দেয় ফলে চশমা পিছলে নেমে আসে।

চেষ্টা করুন ম্যাট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার। চাইলে ম্যাটের বদলে ওয়াটার রেজ়িস্টান্ট ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন।

হালকা পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশনের উপরে ভালো ভাবে ডাস্টিং করে নেবেন পারলে। মুখে ন্যাচারাল ও ম্যাট ব্লাশ ব্যবহার করবেন বেশি স্মার্ট লুক পাবেন চশমার সাথে।

কনসিলার

মেকআপের সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো কনসিলার।

এমনিতে চশমা পরলে চোখের নীচে একটা ছায়া পড়ে, কিন্তু কেউ যদি মোটা ফ্রেমের চশমা পরেন তাহলে চোখের নীচের ছায়াভাব আরও গাড় হয়।

তাই এই আঁধার দূর করতে চোখের নীচে হলুদের যেকোনও শেডের কনসিলার ব্যবহার করুন।

চোখের মেকআপ

চোখে থাকুক বিশেষ নজর। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো চোখের মেকআপ।

চশমায় ঢাকা পড়ে যাবে বলে চোখের মেকআপে কিন্তু কম গুরুত্ব দিবেন না। বরং অধিক গুরুত্ব দিয়েই চোখের মেকআপ করুন।

চোখের জন্য কখনওই অত্যধিক রঙচঙে আই শ্যাডো ব্যবহার করবেন না।

এরজন্য আপনার চশমার ফ্রেমটিই যথেষ্ট। তাই বেস, বাদামীর কোনও ডার্ক শেড আইশ্যাডো হিসাবে বেছে নিন।

আর একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, তা হল কখনওই গ্লসি বা শিমার আইশ্যাডো ব্যবহার করবেন না।

কারণ চশমার সঙ্গে শিমার কখনওই মানানসই হবে না। তাই আইশ্যাডো সর্বদা ম্যাট শেডই ব্যবহার করবেন।

আইশ্যাডোর পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আইলাইনার।

আইশ্যাডোর একেবারে ম্যাট হলেও লাইনারের ক্ষেত্রে বেছে নিন কোনও উজ্জ্বল রঙ।

এই যেমন ধরুন সি গ্রিন বা রয়্যাল ব্লু। এই গাড় রঙের আই লাইনার চোখের কোন থেকে চোখের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত প্রথমে সরু করে টানুন।

আপনার চশমার ফ্রেমের আকার যদি সরু হয়, তাহলে সরু করে আই লাইনার পরুন আর যদি তা মোটা হয়, তাহলে মোটা করে আইলাইনার পরলে চোখদুটি দেখাবে উজ্জ্বল।

এমনিতে অনেকেই নকল আইল্যাশ লাগাতে পছন্দ করেন।

সেইসঙ্গে চোখের পাতা হাইলাইট করতে অনেকেই মাসকারা ব্যবহার করে থাকেন।

চোখের ফলস আইল্যাশ কখনওই ব্যবহার করবেন না। কারণ তা চশমায় লেগে গিয়ে মেখে যেতে পারে।

তবে সেক্ষেত্রে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে চোখের পাতা কার্ল করে নিতে পারেন।

ভুরু

এরপর সুন্দর করে এঁকে নিন ভুরু।

তবে সেক্ষেত্রে আপনার মনে হতেই পারে যে, চশমা পরলে তো ভুরু ঢাকাই পড়ে যাবে, তাই ভুরুর প্রতি আলাদা নজর দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই।

কিন্তু দেখবেন, চশমা পরলেই আরও বেশি করে ভুরুর দিকে নজর যায়।

চশমার ফ্রেম সরু হলে ধনুকের সেপে ভুরু প্লাক করে নিন। মোটা ফ্রেম হলে বেশি সরু করে প্লাক করবেন না।

সেপ শার্প দেখাতে আইব্রো পেনসিল দিয়ে হালকা করে ভুরুর উপর বুলিয়ে নিন। বেশি লাগাবেন না বাজে দেখাবে।

ঠোঁটের মেকআপ

সবার শেষ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঠোঁট।

এমনিকে মেকআপের নিয়ম অনুসারে চোখের মেকআপ গাড় হলে ঠোঁটের মেকআপ হবে হালকা।

তবে চশমা পরার জন্য চোখে যেহেতু ন্যাচরাল মেকআপ করা হয়েছে, তাই ঠোঁটের জন্য বাছুন গাঢ় কোনও রঙ।

যদি খুব সুন্দর করে ক্যারি করতে পারেন তাহলে লাল রঙের লিপস্টিক হলো আদর্শ।

তবে পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়েও লিপস্টিক বেছে নিতে পারেন।