মুখ ধোয়ার সময় নিজেদের অজান্তেই আমরা অনেকসময় অনেক ভুল করে ফেলি।
দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এমনকি ভুল ভাবে মুখ ধোয়ার কারণে চোখেরও ক্ষতি হতে পারে।
তাই সঠিক ভাবে মুখ ধোয়া খুবই প্রয়োজন। সেই জন্য জেনে নেওয়া দরকার যে মুখ ধোয়ার সময় কোন কোন বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
কারণ অনেকদিন ধরে বারবার একই ভুল করতে থাকলে সমস্যা বাড়বে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক মুখ ধোয়ার সময় কোন কোন জিনিস একেবারেই করবেন না!
চোখে কোনওভাবেই জলের ঝাপটা দেবেন না
মুখ ধোয়ার সময় আমরা চোখও পরিষ্কার করি।
এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে দুটো জিনিস। এক- পরিষ্কাড় ঠাণ্ডা জলে চোখ ধুতে হবে।
দুই- কোনওভাবে চোখে জলের ঝাপটা দিয়ে চোখ ধোয়া যাবে না।
বরং আলতো হাতে আস্তে আস্তে পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে নিন।
যদি চোখের মেকআপ অর্থাৎ কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, মাস্কারা এসব তুলতে হয়, তাহলে নরম তুলো ব্যবহার করুন।
কাপড় দিয়ে কখনই ঘষে ঘষে চোখের মেকআপ তুলবেন না।
মুখের মেকআপ তোলার ক্ষেত্রে জোরে ঘষবেন না
মুখের মেকআপ তোলার জন্য ভেজা টিস্যু পেপার অর্থাৎ ওয়েট টিস্যু এবং ক্লেনজার ব্যবহার করুন।
আলতো হাতে অনেকক্ষণ সময় নিয়ে মুখের এবং তার সঙ্গে গলার মেকআপও তুলতে হবে।
জোরে জোরে ঘষে তাড়াতাড়ি মেকআপ তুললে ত্বকের বারোটা বাজতে বেশিদিন লাগবে না।
ত্বকের গঠন তো নষ্ট হবেই। সেই সঙ্গে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাবে। তাই মুখের মেকআপ তোলার সময় ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে বসুন।
একদমই তাড়াহুড়ো করবেন না।
মুখ মোছার সময় নরম গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করুন
মেকআপ তোলার পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর মুখ মোছার সময় নরম হাতে আলতো আলতো করে মুখের জল মুছে নিতে হবে।
গামছা বা তোয়ালে নরম হলেও তা দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ মুছবেন না কোনওমতেই।
আর মুখে মোছার জন্য সবসময়ই (ঘাম হোক বা জল) নরম কাপড় এবং সুতির মেটেরিয়াল ব্যবহার করা ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে কী প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন
সারা বছর যা মাখেন সেটাই ব্যবহার করুন।
আচমকা ত্বকের উপর মেকআপ তোলার জন্য বা মুখ ধোয়ার জন্য নতুন কিছু অ্যাপ্লাই করে এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভাল।
এর ফলে ওই প্রোডাক্ট স্যুট না করলে অর্থাৎ সহ্য না হলে ত্বকে র্যাশ, অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
তার ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। সেজন্য মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে নিজের স্কিনের ধরন অনুসারে প্রোডাক্ট বেছে নিন।
মুখে স্ক্রাব বা ফেসওয়াশ কিং ফেসপ্যাক লাগানোর পদ্ধতি
আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। হয় ক্লকওয়াইজ নয়তো অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ, যেকোনও একভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন।
একসঙ্গে দু’রকম পদ্ধতিতে ম্যসাজ করলে স্কিনের টেক্সচার খারাপ হয়ে যেতে পারে।
আর কখনই খুব জোরে মুখের চামড়ায় কিছু ঘষে লাগাতে বা তুলতে যাবেন না।
এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।