ত্বকের ঠিকঠাক দেখভাল করার জন্য ছুটির দিনই তো থাকে হাতে!
সারা সপ্তাহে ধুলো-ধোঁয়া-দূষণের জেরে ত্বকের ক্ষতি হয়।
তা উসুল করে ত্বক ডিটক্স করার সবচেয়ে সহজ আর শর্টকাট রাস্তা হলো ফেসমাস্ক লাগানো।
এখন এতরকম ফেস মাস্ক রয়েছে বাজারে যে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কোন মাস্কটা তাদের জন্য উপযোগী!
আসলে কার কোন ফেস মাস্ক দরকার তা নির্ভর করে ত্বকের সমস্যার উপর।
ভেবে দেখুন আপনার সমস্যাটা ঠিক কী আর সেই অনুযায়ী বেছে নিন আপনার আদর্শ ফেস মাস্ক!

পিল-অফ মাস্ক
যাদের ত্বক তেলতেলে, প্রায়ই ব্রণ বেরোয়, তারা আস্থা রাখতে পারেন পিল-অফ মাস্কে।
পিল-অফ মাস্ক একটা জেলের মতো দেখতে জিনিস যা মুখে লাগানোর পর শুকিয়ে যায় আর তা টেনে তুলতে হয়।
মাস্ক টেনে তোলার সময়ই মুখে জমে থাকা সমস্ত মৃত কোষ ও ধুলো-ময়লাও মাস্কের সঙ্গেই উঠে আসে।
তাই ব্রণর সমস্যা থাকলে, ত্বকের তেলতেলেভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে চোখ বন্ধ করে বেছে নিন পিল-অফ মাস্ক।

স্লিপ মাস্ক
পিল-অফ মাস্কের ঠিক বিপরীতে রয়েছে স্লিপ মাস্ক। একে ওভারনাইট মাস্কও বলা হয়।
অর্থাৎ এই মাস্ক মুখে লাগিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেওয়াই কাজ এই মাস্কের।
রাতে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন, সকালে আর্দ্র, ঝলমলে ত্বক অভিবাদন জানাবে আপনাকে!

বাবল মাস্ক
এই বস্তুটি অপেক্ষাকৃত নতুন। ইনস্টাগ্রাম ঘাটলেই বাবল মাস্কের জনপ্রিয়তা চোখে পড়বে আপনার।
এই মাস্কটি লাগানোর আগে স্বাভাবিকই থাকে।
কিন্তু মুখে লাগানোর পরেই সাবানের ফেনার মতো ফুলে ফুলে উঠতে শুরু করে।
এবং সেই সঙ্গেই ত্বকের রোমছিদ্রগুলো গভীর থেকে পরিষ্কার করে ত্বকে পুষ্টির জোগান দেয়।
আপনার ত্বক যদি নিষ্প্রাণ বিবর্ণ দেখায়, রোমছিদ্র বন্ধ থাকে, তবে বেছে নিন বাবল মাস্ক।

শিট মাস্ক
হাতে সময় নেই একদম অথচ চটজলদি ত্বকে লাবণ্য আনতে চান?
আপনার জন্য হাজির শিট মাস্ক।
পাতলা তুলোর কাপড়ের মতো দেখতে এই মাস্কে সিরাম সহ নানান উপকারী উপাদান মেশানোই থাকে।
যা ত্বকে অ্যান্টি-অক্সিডান্টের জোগান দেয়।
শিট মাস্কের দাম একটু বেশি, কিন্তু ত্বকে দ্রুত আর্দ্রতার জোগান দিতে হলে জুড়ি নেই এই জিনিসটির!