স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ের সঙ্গে আদা যুক্ত হলে এর উপকারিতা বাড়ে কয়েক গুণ।
কারণ আদায় রয়েছে জীবাণুরোধী উপাদান, যা রোগ-জীবাণু ঠেকায়।
এ ছাড়া জ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে এই আদা-চা।
করোনাকালীন এই সময়ে আদা-চা খেলে শরীরের অনেক সমস্যা কাটিয়ে অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবেন।
আদা-চায়ে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ। যা শরীরের জন্য বেশ উপকারি।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আদা-চায়ের ১০টি গুণ
১) কফ বা খুসখুসে কাশি উপশমে আদা-চায়ে আছে প্রাকৃতিক নিরাময় উপাদান।
২) এক কাপ আদা-চা মোশন সিকনেস বা গতিজনিত অসুস্থতার জন্য উপকারী হতে পারে।
ভ্রমণের আগে এক কাপ আদা-চা খেলে, মোশন সিকনেসের কারণে বমি বমি ভাব কমে যাবে। এ ছাড়া মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকর এই চা।
৩) হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে আদা, তাই আদা-চা খেলে হজমের সমস্যা দূর হবে।
৪) আদা-চা অবসাদ দূর করে শরীর ও মনে চাঙা ভাব আনে।
৫) আদায় উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যেটা এই সময়ে খুবই দরকার।
৬) এক কাপ আদা-চা মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই যে কোন অস্থিরতায় নিশ্চিতে খেতে পারেন এক কাপ আদা-চা।
৭) খাবারে অরুচি দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। এ ছাড়া হজমে সহায়ক এনজাইমগুলো নিঃসরণ ঘটিয়ে খাদ্য পরিপাকেও সহায়তা করে আদা।
৮) অনেক সময় খাওয়ার কারণে পেটে অস্বস্তি বা খারাপ লাগতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এক কাপ গরম আদা-চা খেয়ে নিন। সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাবেন। খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করবে এই চা।
৯) অম্লতার বিরুদ্ধে খুব ভালো লড়তে পারে আদা-চা।
১০) আদায় ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এটি রক্ত সঞ্চালন-প্রক্রিয়া উন্নত করে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি আদার রস ধমনিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে প্রতিদিন আদা-চা পান করলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।
খেয়াল রাখবেন
এই আদা-চায়ে চিনির পরিমাণ খুবই সামান্য থাকতে হবে। কোন অবস্থায় বেশি হওয়া চলবে না।
আর আদা কুচি কুচি করে কেটে অথবা আদার গুড়া মিশ্রিত করে নেওয়া যাবে চায়ের সঙ্গে।