Search
Close this search box.

গ্লোইং সিরাম বানানোর ঘরোয়া উপায়

উজ্জ্বল ত্বক পেতে অনেকেই চান, এর জন্য অনেক প্রোডাক্ট অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু কেউ কি কখনও এটা ভাবেন যে, বাড়িতে বসে ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে কীভাবে গ্লোয়িং স্কিন পাওয়া যেতে পারে।

বাজরচলতি পণ্যে অনেক প্রকারের রাসায়নিক কেমিকেল, সিন্থেটিক মেশানো থাকে, যা ত্বকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই আপনাদের জন্য রইলো ঘরোয়া উপায় তৈরি নাইট সিরাম এর রেসিপি, যেটির ব্যবহারে পেয়ে যেতে পারেন চকচকে গ্লোয়িং স্কিন।

১. অয়েল বেসড সিরাম

এটি বানাতে যা যা লাগবে

  • গোলাপ জল – ২ টেবিল চামচ
  • আমন্ড অয়েল/ অলিভ অয়েল / জেরানিয়াম অয়েল (যেটি আপ নার জন্য উপযুক্ত) -১ চা চামচ
  • আর্গন অয়েল – কয়েক ফোঁটা (ঐচ্ছিক)
  • গ্লিসারিন – ১ টেবিল চামচ
  • অ্যালোভেরা জেল – ২ টেবিল চামচ
  • ভিটামিন-ই ক্যাপসুল – ৩টি

সিরাম বানানোর পদ্ধতি

এটি বানানোর জন্য আলাদা করে কোনও পদ্ধতি অবলম্বন করার দরকার নেই।

একটি পরিষ্কার প্লাস্টিকের কৌটো বা পাম্প ডিসপেন্সার কন্টেনারে সমস্ত উপকরণগুলি একসঙ্গে ভরে নিয়ে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন, যাতে করে তেলের সঙ্গে অন্যান্য উপকরণ ভালভাবে মিশে যায়। তাহলেই সিরাম রেডি।

কীভাবে ও কখন ব্যবহার করবেন

সেরা ফলাফল পেতে দুটি সময় এই সিরামটি অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এক হলো, মুখে মেকআপ অ্যাপ্লাই করার আগে আর দুই হলো, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে।

সিরামে সর্বদা অর্গ্য়ানিক বা খাঁটি অ্যালোভেরা জেলটি মেশানোর চেষ্টা করবেন, কারণ অ্যালোভেরা জেল আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। 

আর সেই জন্যই সিরাম অ্যাপ্লাই করার আগে আলাদা করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার দরকার নেই।

এই সিরামটিই আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজারের চাহিদা পূরণ করে দেবে।

সিরামটি আপনারা একবার তৈরি করে নিয়ে রেখে দিয়ে মাসখানেক ধরেও ব্যবহার করতে পারেন।

সেক্ষেত্রে এটি একটি প্লাস্টিক পাম্প ডিসপেন্সার কন্টেনারে ভরে ব্যবহার করুন।

২. ওয়াটার বেসড সিরাম

অনেকসময় ত্বকের যথাযথ যত্ন নিলেও তার ঔজ্জ্বল্য ঠিকঠাক চোখে পড়ে না।

আপনি যতই অ্যান্টি এজিং ক্রিম, ডে-ক্রিম, নাইট ক্রিম অ্যাপ্লাই করুন না কেন আপনার ত্বকে তার কোনও প্রভাব পড়ে না।

তাই আজ আপনাদের ওয়াটার বেসড সিরামের কথা জানাবো যেটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অপেক্ষাকৃত অল্প বয়স্ক দেখাবে।

এই রেসিপিতে ভিটামিন ই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে।

ভিটামিন ই হলো অসাধারণ একটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, তাই এর ব্যবহার ত্বককের জন্য যেমন ভাল তেমনই মাত্রাতিরিক্ত বা ভুল ব্যবহারে কিন্তু ত্বকে একটা খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

তাই ভিটামিন ই ব্যবহারের আগে সর্বদা দেখে নেবেন, সবচেয়ে শুদ্ধ ভিটামিন ই- যাতে ব্যবহার করা হয়।

এটি বানাতে যা যা লাগবে

  • অ্যালোভেরা জেল – ২ টেবিল চামচ
  • গোলাপ জল – ২ টেবিল চামচ
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল -২টি

কীভাবে বানাবেন?

এই সিরামটি বানানোর জন্য একটি বোলে অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপ জল নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে দিন।

চেষ্টা করুন বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে। যদি সম্ভব হয় বাড়িতে তাজা গোলাপের পাপড়ি দিয়ে রোজ ওয়াটার বানিয়ে নিতে পারেন।

মিশিয়ে নেওয়ার পর এতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই সিরাম তৈরি।

কাঁচের ড্রপার বোতল বা পাম্প বোতলে ভরে রেখে দিয়ে ব্যবহার করুন।

আপনারা এই সিরামটি দিনে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

তবে যখনই ব্যবহার করুন মুখাটাকে পরিষ্কার করে নিয়েই ব্যবহার করুন। হালকা হাতে মাসাজ করে নিয়ে সারারাত রেখে দিন।

তবে যদি মনে করেন যে অস্বস্তি হচ্ছে, তাহলে খানিকক্ষণ রেখে সাধারণ জলে ধুয়েও নিতে পারেন।

এই সিরামটি খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরা এবং গোলাপজলের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আর সেই কারণে এই সিরামটি সবচেয়ে ভাল।

অ্যালোভেরা এবং গোলাপ জল এবং ভিটামিন ই একসঙ্গে ত্বকে অ্যাপ্লাই করা হলে তা আপনার ত্বকে একটা ইন্সট্যান্ট গ্লো দেবে।

আপনার ত্বকে যদি অনেক ডার্ক স্পট থাকে তাহলে এই সিরামটি অবশ্যই ব্যবহার করুন।